বিয়ের পর বর্ধমানের বাড়িতে প্রথম পা রাখলেন মেয়ে-জামাই। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ বর্ধমানের বাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। জামাই রাজের পছন্দমতোই তাই বাড়ি সাজিয়েছিলেন শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
মেয়ে-জামাই আসছেন অষ্টমঙ্গলায়। সব আয়োজন সারা। রীতি মেনেই মেয়ে-জামাইকে বরণ করেন শুভশ্রীর মা বীণা গঙ্গেপাধ্যায়। সেলেব্রিটি হলেও রাজ-শুভশ্রী নাকি খুঁটিনাটি সমস্ত আচারই হাসিমুখে পালন করেছেন। জামাইয়ের পছন্দের মেনুও নিজের হাতে রান্না করেছন বীণা।
শুক্রবার সকালে কিছু ধর্মীয় রীতি ছিল শুভশ্রীর বাপের বাড়ির। সেই রীতি মেনে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে যান দু’জনে।
এই পুকুরে থালা নিয়ে কিছুক্ষণ লুকোচুরি খেলা হয় তাঁদের। তার পর নিয়ম মেনে পুকুর ঘাট থেকে কোলে করে শুভশ্রীকে কিছু রাস্তা নিয়ে আসেন রাজ।
জামাই নাকি শাশুড়ির থেকে একটি গিফটও চেয়েছেন। শাশুড়ির থেকে কী গিফট নিলেন রাজ? সময়মতো শাশুড়িকে সেটা জানাবেন, জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। ভুরিভোজ তো ছিলই, সঙ্গে আয়োজন ছিল বাজি প্রদর্শনীর। কারণ, ছোটবেলা থেকেই শুভশ্রীর নাকি বাজির খুব শখ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে তাঁদের দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি কালীবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে তাঁরা যেতে পারেননি। কলকাতায় ফিরে এসেছেন রাজ-শুভশ্রী।