শার্লি এবং রাহুল।
ছোট পর্দায় তিনটি ট্রেন্ড। হয় নায়ক-নায়িকার জম্পেশ প্রেম। নয়তো পারিবারিক গল্প। যেখানে শাশুড়ি-বৌমার দ্বন্দ্ব, ননদ-জায়ের কূটনীতি, আর সমাজের প্রান্তবাসী মেয়ের লড়াই। যে প্রতি মুহূর্তে সমাজ, বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়িতে লড়তে লড়তে আদায় করবে তার প্রাপ্য সম্মান। অথবা পিরিয়ড ড্রামা। স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ দ্বিতীয় ধারার অনুসরণে তৈরি। এখানে নিটোল পারিবারিক গল্পের সঙ্গে রয়েছে এক অনাথ, ১২ ক্লাস পাশ মেয়ের বুদ্ধির জোরে স্বামীর ডুবন্ত ব্যবসার হাল ধরার গল্প। আগামী ৩১ অগস্ট, সোম থেকে রবিবার রোজ রাত ৯টায় টিভি খুললেই দেখা মিলবে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’র।
ননদ, জায়ের বদলে দেওর, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘দোকান’
প্রোমো বলছে, এটাই গল্পের টুইস্ট। বড় ছেলে বোধায়নের বউ ভাগ্যশ্রীকে বরণ করবে দুই দেওর রূপায়ণ ও শুভায়ন। শাশুড়ি মা আছেন। তাঁর সঙ্গে বউমার দ্বন্দ্বও আছে। কিন্তু সেটা প্রকট নয়! বধূবরণ হবে লক্ষ্মী স্টোর্সের সামনে। কারণ, সরকার বাড়ির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই পোশাকের দোকান। কিন্তু বধূবরণের সময়েই অঘটন। কোর্টের সমন নিয়ে উকিলবাবু হাজির। বোধি দেনার টাকা শোধ করতে না পারায় আইনি নির্দেশে বন্ধ হবে লক্ষ্মী স্টোর্স। ভাগ্যশ্রী পারবে নিজের ভাগ্যের জোরে বন্ধ দোকান আবার খুলতে?
এমবিএ না করেও অনেকে তুখোড় ব্যবসায়ী
কথা হচ্ছিল ‘ভাগ্যশ্রী’ শার্লি মোদকের সঙ্গে। কালার্স বাংলার ‘চিরদিনই আমি যে তোমার’ শার্লিকে টেলিপাড়ায় এনেছে। দ্বিতীয় ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্র এক অনাথমেয়ের। যে মাত্র ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়তে পেরেছে। এমন মেয়ে পারে এত বড় দোকান সামলাতে? শার্লির যুক্তি, এমন অনেকে আছেন যাঁরা এমবিএ না করেই তুখোড় ব্যবসায়ী।
মেগায় দুই দেওর ফারহান ইমরোজ আর পারাব্ধি
গল্পের কোন দিক তাঁকে উৎসাহিত করেছে? উত্তর, ‘‘অনাথ হওয়ায় গল্পে লড়াইটা আরও বেশি। টিপিক্যাল জা-ননদ নেই, ভাগ্যশ্রীর ‘বন্ধু’ সন্তানসম দুই দেওর। শাশুড়ি আছেন। কিন্তু নেগেটিভিটি নেই।’’
মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের অনুভূতিও প্রকাশ্যে
এই জন্যই তিনি সরকার বাড়ির বড় ছেলে বোধায়ন, জানালেন রাহুল মজুমদার। দাবি, ‘‘এত দিন মেয়েরাই প্রধান মেগায়। এখানেও তাই-ই। কিন্তু চমৎকার ভাবে ছেলেদের অনেক অনুভূতিও জায়গা করে নিয়েছে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’-তে। যা দেখে বাড়ির বাবা বা ছেলেরা নিজেদের সঙ্গে অনেক মিল খুঁজে পাবেন।’’ ‘দেবী চৌধুরাণী’র মতো পিরিয়ড ড্রামার পরে ‘বোধায়ন’ চরিত্রে তিনি শ্বাস ফেলে বেঁচেছেন, রাহুলের দাবি। ইতিমধ্যেই তাঁর আর শার্লির জুটি প্রোমোয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। টেলি পরিবারে সেরা জুটিদের একজন হয়ে উঠতে পারবেন? উত্তর এল, চেষ্টা একশো শতাংশ। আশা করতে ক্ষতি কী?
নতুন বিয়ে রাহুলের। পাত্রী ‘বধূ কোন আলো লাগল চোখে’-র ‘সুহানা’ প্রীতি। বরের রিল রোমান্স দেখে জ্বলছেন নাকি নতুন বউ? হাসতে হাসতে জবাব, ‘‘একেবারেই নয়! উল্টে বলছে, ‘বোধি’ লুক দেখে নতুন করে প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছে!’’
মেগায় দুই দেওর ফারহান ইমরোজ আর পারাব্ধি। ক্রিয়েটিভ হেড সৃজিৎ রায়। পরিচালনায় বিজয় জানা। প্রযোজনায় শশী-সুমিত প্রোডাকশনস।