সৃজিত
ফেলুদাকে নিয়ে তিনি সিরিজ় বানিয়েছেন, এ বার ব্যোমকেশ বক্সীকে বড় পর্দায় আনবেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুর্গরহস্য’ অবলম্বনে শুরু হতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ যাত্রা। ছবিটির প্রযোজনা করছেন শ্যামসুন্দর দে। অবশ্য এর আগে শ্যামসুন্দরের প্রযোজনাতেই ‘দুর্গরহস্য’ ছবিটি পরিচালনা করার কথা ছিল সায়ন্তন ঘোষালের।
ছবির বিষয়ে সৃজিত বললেন ‘‘ব্যোমকেশ করার কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না। কিন্তু শ্যামসুন্দর যখন ‘দুর্গরহস্য’-র অফার নিয়ে আমার কাছে এল, তখন মনে হল করা যেতেই পারে। আর পিরিয়ড পিস বানাতে আমি সবসময়ে আগ্রহী, সেটা ‘এক যে ছিল রাজা’ হোক, ‘গুমনামী’ বা ‘জাতিস্মর’। তা ছাড়া ‘দুর্গরহস্য’-র ক্যানভাস ও স্কেল সবটাই খুব আকর্ষক। বাংলা ছবির যা সামগ্রিক পরিস্থিতি, তাতে মনে হয় এ রকম বড় ক্যানভাসের ছবি বাংলা ছবিকে অক্সিজেন জোগাতে সাহায্যই করবে।’’ পরিচালক অবশ্য করোনা আক্রান্ত হয়ে আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন।
প্রযোজক শ্যামসুন্দরও জানালেন, সৃজিতের সঙ্গে ছবিটা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছে এবং তাঁরা প্রজেক্টটা নিয়ে খুবই আগ্রহী। কিন্তু সায়ন্তনের সঙ্গে ‘দুর্গরহস্য’র পোস্টার শুট হওয়ার পরে সৃজিত এখন পরিচালকের আসনে, তার কারণ কী? সে প্রসঙ্গে প্রযোজকের বক্তব্য, ‘‘সায়ন্তন আমার খুব কাছের মানুষ। ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’-এর পরে ওর সঙ্গে এই ছবিটা করার কথা ছিল ঠিকই। কিন্তু সায়ন্তন আমার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ছবি করছে আর সৃজিত এই ছবিটা করবে। তা ছাড়া সৃজিত ইতিমধ্যেই ফেলুদা বানিয়েছে এবং সেটা যথেষ্ট প্রশংসিত। ‘দুর্গরহস্য’র মতো কাহিনির উপরে পরিচালকের একটা আলাদা ভালবাসা তো থাকেই।’’
স্বাভাবিক ভাবেই পরের প্রশ্ন, কে হবেন সৃজিতের ব্যোমকেশ? পরিচালকের সহাস্য উত্তর, ‘‘আমার মাথায় সর্বক্ষণই কিছু না কিছু থাকে। এখনও ব্যোমকেশের চেহারাটা পরিষ্কার হয়নি, কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে।’’ শ্যামসুন্দর অবশ্য জানালেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই ব্যোমকেশ হয়েছেন, অর্থাৎ আবীর চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত বা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে থেকেও কেউ এ ছবির সত্যান্বেষী হতে পারেন। আবার নতুন কাউকেও নেওয়া হতে পারে।
শুটিং কবে শুরু হবে, তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপরে। আপাতত পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু করতে চান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ইচ্ছে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ কিংবা রাজস্থানে শুটিং করার, যেখানে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অনুসারে দুর্গ পাওয়া যেতে পারে। ‘‘‘শাবাশ মিতু’র পোস্ট প্রোডাকশন শুরু করার জন্য আমার মুম্বই যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিডের কারণে পিছিয়ে গেল। ‘শের দিল’-এর পোস্ট প্রোডাকশন কিছুটা বাকি আছে। এ ছাড়া দুটো হিন্দি ছবি আর একটা সিরিজ়ের কথা মোটামুটি পাকা হয়েছে। কাজ শুরু করব এ বার,’’ বললেন ব্যস্ত পরিচালক।