সেন্সরের ছাড়পত্র

পরিচালকের দাবি, ‘মুখার্জি কমিশন’-এর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু সংক্রান্ত তিনটি থিয়োরি দেখানো হয়েছে ছবিতে। সুতরাং ইতিহাসের বিকৃতিও করা হয়নি, কোনও মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও করা হয়নি। পরিচালক এ-ও জানিয়েছেন, অনেকে ছবির নাম পাল্টানোর দাবি করলেও, সিবিএফসি নাম নিয়ে আপত্তি করেনি। কারণ ছবির নামে ‘গুমনামী বাবা’ শব্দটি নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৪
Share:

সেন্সর বোর্ডের আনকাট ‘ইউ’ সার্টিফিকেট পেয়েছে ছবিটি।

বিতর্ক সত্ত্বেও সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের ছাড়পত্র পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামী’। সেন্সর বোর্ডের আনকাট ‘ইউ’ সার্টিফিকেট পেয়েছে ছবিটি। পরিচালকের দাবি, ‘মুখার্জি কমিশন’-এর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু সংক্রান্ত তিনটি থিয়োরি দেখানো হয়েছে ছবিতে। সুতরাং ইতিহাসের বিকৃতিও করা হয়নি, কোনও মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও করা হয়নি। পরিচালক এ-ও জানিয়েছেন, অনেকে ছবির নাম পাল্টানোর দাবি করলেও, সিবিএফসি নাম নিয়ে আপত্তি করেনি। কারণ ছবির নামে ‘গুমনামী বাবা’ শব্দটি নেই।

Advertisement

‘গুমনামী’ শব্দের অর্থ অজানা, নেতাজির মৃত্যুরহস্যও তাই। সেই হিসেবে ছবির নাম পাল্টানোর প্রয়োজন নেই, সেন্সর বোর্ডই জানিয়েছে নির্মাতাদের। সৃজিত বললেন, ‘‘কোনও ছবি সম্পর্কে রায় দেওয়ার একমাত্র সাংবিধানিক অধিকার যাদের আছে, সেই সেন্সর যখন ছবিটাকে ক্লিনচিট দিয়েছে, কোনও কাট ছাড়াই, তখনই তো ‘গুমনামী’কে ঘিরে অমূলক বিতর্ক আর আশঙ্কার অবসান হয়ে যায়।’’

প্রসঙ্গত, ‘গুমনামী’ নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক আইনি নোটিস পেয়েছেন সৃজিত। বসু পরিবার থেকেও উঠেছে আপত্তি। তার পরেও নিজের ছবি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী পরিচালক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যাঁরা ইচ্ছে করে বিতর্ক তৈরি করছেন, তাঁদের কথা আলাদা। তবে যাঁরা সত্যিই বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন, তাঁদের এই রায় আশ্বস্ত করবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement