Sreemoyee On Kanchan Mullick

‘কাঞ্চনের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি না’, স্বামী ক্ষমা চাইতে কী বললেন শ্রীময়ী?

সোমবার রাতে কাঞ্চন ক্ষমা চাইতেই, শ্রীময়ীর কণ্ঠে অন্য সুর। কী বললেন তিনি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১১
Share:

(বাঁ দিকে) কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

নিজের মন্তব্যের জন্য সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। তার পরেই বিধায়ক-অভিনেতার স্ত্রী, শ্রীময়ীর সুরও বদলে গিয়েছে। সোমবার গভীর রাতে শ্রীময়ী চট্টরাজ সমাজমাধ্যমে লেখেন, “কাঞ্চন যা বলেছে, তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি না। ঘটনার আকস্মিকতায় এমন বলে ফেলেছে।” সোমবার গভীর রাতে দীর্ঘ পোস্টে শ্রীময়ী বলেন, “পরিস্থিতি এ রকমই যে, নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারেননি এবং মুহূর্তের অভিঘাতে বলে ফেলেছে। কিন্তু এটা কাউকে ছোট করার জন্য বা কারও পক্ষ নেওয়ার জন্য নয়। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, যাঁরা রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদের জন্য, তাঁদের ছোট করার জন্য বা কটাক্ষ করার জন্য কোনও অন্যায়কে প্রশয় দেওয়ার জন্য বলেনি।”

Advertisement

যদিও সোমবার দুপুরে তিনি একটু অন্য রকম ভাবেই কথা বলেছিলেন। দাবি করেছিলেন, আন্দোলনের নামে গুন্ডামি চলছে। শ্রীময়ী বলেছিলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও অনেক আকস্মিক মৃত্যু হয়। তখন কি আমরা আন্দোলনে নামি! কাজ থেমে থাকে? শুধু ধারাবাহিকের নীচে লেখা হয় অমুক চরিত্রটা বদলে গেল। সেখানে চিকিৎসকদের তো দায়িত্বটা আরও বেশি, সেটাই বলতে চেয়েছে কাঞ্চন। আমরা কিন্তু সবাই সুবিচার চাইছি। তদন্তের ভার রাজ্যের হাত থেকে কেন্দ্রে গিয়েছে। বড় বড় মানুষেরা বিচার করছেন। অথচ, এখানে চিৎকার করে রক্তবন্যা বইয়ে দিচ্ছি। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি হচ্ছে।”

রবিবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। আরজি কর-কাণ্ডে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের ‘পুজোর বোনাস’ ও ‘বেতন’ নিয়ে মন্তব্য করেন অভিনেতা-বিধায়ক। তার পর থেকে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের বন্যা। ছেড়ে কথা বলেননি অভিনেতার সহকর্মী, পুরনো বন্ধুরা। শেষে পর্যন্ত সোমবার মধ্যরাতে ক্ষমা চান কাঞ্চন। আনন্দবাজার অনলাইনকে নিজেই শ্রীময়ী বলেন, “কাঞ্চন কোনও ভুল কথা বলেননি।”

Advertisement

শ্রীময়ী স্বামীর হয়ে নিজেও যেমন ক্ষমা চেয়েছেন, পাশপাশি এ-ও বলেছেন, “আমাদের সাথে অনেক চিকিৎসকের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁরাও এই ঘটনার জন্য আমাদের ফোন করেছেন। তাঁদেরও খারাপ লেগেছে, সেটাই স্বাভাবিক। তাঁরা ভালবাসেন বলে হয়তো ফোন করে খবর নিয়েছেন। এটাই বলব কয়েক দিন যাবৎ যে, ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যক্তি কাঞ্চনকে, যে মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই হয়তো একটা ভাবনা-চিন্তা, দুঃখ, ক্ষোভ প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। কথাগুলো ভেবে বলা উচিত ছিল। তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, কাঞ্চনের হয়ে আমিও ক্ষমা চাইছি। আবারও বলছি, কেউ ভুল বুঝবেন না ,কাউকে ব্যক্তিগত স্তরে আঘাত দেওয়ার জন্য কথাগুলো বলা হয়নি। অন্যায় হয়েছে, ভুল হয়েছে এবং আমরা সকলেই চাইছি ,‘জাস্টিস ফর আর জি কর’। আমি একজন নারী হয়ে,নারীর সুরক্ষার জন্য আর্জি জানাচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement