শ্রীলেখার মতে, নিজের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে না পেরে উইল প্রতিবাদ জানিয়ে ভাল করেছেন। কিন্তু তা বলে ক্রিসকে চড় না মারলেও হত। অন্য ভাবেও প্রতিবাদ করা যেত। নায়িকার কথায়, ‘‘অনুষ্ঠান চলাকালীন অস্কারের মঞ্চে উঠে সকলের সামনে গায়ে হাত তুলতে পারেন না স্মিথ। তার পরে গালিগালাজ করাটাও দৃষ্টিকটু লাগল আমার।’’
উইল-ক্রিসের ঘটনায় শ্রীলেখার বক্তব্য
হিংসাকে কখনওই সমর্থন করবেন না। সোজাসুজি বার্তা শ্রীলেখা মিত্রের। অস্কারমঞ্চে কৌতুকশিল্পী-সঞ্চালক ক্রিস রককে চড় মারার ঘটনায় প্রিয় নায়ক উইল স্মিথের বিরোধিতাই করলেন টলিউড অভিনেত্রী। অ্যাকাডেমি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে এমন নজিরবিহীন ঘটনায় দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে সমগ্র বিশ্ব। টলিউডের তারকাদেরও কেউ স্মিথকে সমর্থন করছেন, কেউ বা ক্রিসকে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা বললেন, ‘‘কোনও কিছুর বিরোধিতা করার জন্য কারও গায়ে হাত তোলাটা অনুচিত। হিংসাকে কখনওই সমর্থন করব না। ক্রিস তো কেবল রসিকতা করছিলেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাননি তিনি। তার জন্য এ ভাবে প্রতিবাদ জানানোর কী দরকার ছিল স্মিথের?’’
শ্রীলেখার দাবি, নিজের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে নিয়ে মস্করা হজম করতে না পেরে উইল প্রতিবাদ জানিয়ে ভাল করেছেন। কিন্তু তা বলে ক্রিসকে সটান চড় না মারলেও চলত। অন্য ভাবেও এর প্রতিবাদ করা যেত। নায়িকার কথায়, ‘‘অনুষ্ঠান চলাকালীন অস্কারের মঞ্চে উঠে সকলের সামনে গায়ে হাত তুলতে পারেন না স্মিথ। তার পরে গালিগালাজ করাটাও দৃষ্টিকটু লাগল আমার।’’
ভিডিয়োটি বারবার দেখেছেন শ্রীলেখা। তাঁর মতে, এই ঘটনাটি কোথাও গিয়ে স্মিথের ক্ষমতা প্রকাশের দিকটি ফুটে উঠেছে। শ্রীলেখার কথায়, ‘‘মানুষ নিজের ব্যাপারে, নিজের পরিবারের ব্যাপারে সংবেদনশীল। সেটা ঋতুদার (ঋতুপর্ণ ঘোষ) সময়েও দেখেছি। মীর (আফসার আলি) যখন ঠাট্টা করত, উনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু স্মিথের প্রতিবাদের ধরন তো সে রকম নয়! নিজের ক্ষমতার প্রকাশ ঘটালেন যেন তিনি।’’
ভারতীয় সময় সোমবার সকালে অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালক কৌতুকশিল্পী ক্রিসকে সপাটে চড় মারেন অভিনেতা উইল স্মিথ। অ্যালোপেশিয়ায় আক্রান্ত উইল-ঘরনি জাডার মাথার কম চুল নিয়ে ঠাট্টা করেছিলেন ক্রিস। বলেছিলেন, “আমি জি আই জেন-এর সিক্যুয়েলের অপেক্ষায় রয়েছি, যেখানে পিঙ্কেট অভিনয় করবেন।” ১৯৯৭ সালের ছবি ‘জি আই জেন’-এ নায়িকার চরিত্রে অভিনেত্রীর মাথায় চুল কম থাকা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ক্রিসের এই রসিকতা। যা কুরুচিকর মনে হয়েছিল স্মিথের।