রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে রজনীকান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা সেজে উঠেছিল রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে। রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, আলিয়া ভট্ট, রণবীর কপূর, ক্যাটরিনা কইফ, ভিকি কৌশল, আয়ুষ্মান খুরানার মতো বলিউড অভিনেতারা। শুধু তাঁরাই নন, ঐতিহাসিক ওই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে অযোধ্যায় হাজির হয়েছিলেন রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, রাম চরণের মতো দক্ষিণী তারকারাও। তবে অনুষ্ঠানের জাঁকজমকে ঢাকা পড়ে যায়নি বিতর্ক। চলতি বছরে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই নাকি এমন জমকালো আয়োজন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, দাবি বিরোধীদের। দক্ষিণ ভারতে বিজেপির ঘাঁটি শক্ত নয় এমনিতেই। সেই কারণে তিরুপতি বালাজির আদলে কৃষ্ণকায় রামলালার মূর্তি স্থাপন করেই নাকি দাক্ষিণাত্যের মন জয় করতে চান মোদী— দাবি তাঁদের। অযোধ্যা থেকে চেন্নাই ফিরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন খোদ রজনীকান্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতেও দ্বিধা করলেন না থালাইভা।
অযোধ্যায় রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের পর রামলালার মূর্তিও দর্শন করেছেন রজনীকান্ত। সাংবাদিকরা রজনীকান্তকে প্রশ্ন করলে তারকা বলেন, ‘‘আমি গোটা অনুষ্ঠান খুব উপভোগ করেছি। প্রথম ১৫০ জনের মধ্যে আমি ছিলাম, যাঁদের রামলালার মূর্তি দর্শন করার সৌভাগ্য হয়েছিল। এবং আমি খুব খুশি। আমার জন্য এটা আধ্যাত্মিকতা, কোনও রাজনীতি নয়। আলাদা আলাদা মানুষের আলাদা আলাদা মতামত থাকতেই পারে। সব সময় তো সবার মত মেলে না।’’
অন্য দিকে, রজনীকান্তের মতো তারকা ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি দক্ষিণী বিনোদন জগতের আর এক মেগাতারকা কমল হাসনকে। নিজের অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে কমল বলেন, ‘‘৩০ বছর আগে আমার যা মত ছিল এই বিষয়ে, এখনও তাই-ই আছে।’’ প্রসঙ্গত, ৩২ বছর আগে ১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কমল। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন যে গুটিকতক তারকা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ‘বিক্রম’ খ্যাত অভিনেতা। সেই সময় কমল বলেছিলেন, ‘‘তাঞ্জোর মন্দির বা ভেলঙ্কন্নি চার্চ যেমন আমার আপন, বাবরি মসজিদও তেমনই।’’