(বাঁ দিকে) যিশু সেনগুপ্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং তপন সিংহ পরিচালিত বৈগ্রহিক ছবি ‘ঝিন্দের বন্দী’-র রিমেকের প্রস্তুতি যে টলিপাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে, সে খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এ বার শোনা যাচ্ছে এই ছবির মুখ্য দুই অভিনেতাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন নির্মাতারা। সূত্রের খবর, ছবিতে দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন যিশু সেনগুপ্ত এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অরিন্দম শীল।
সূত্রের খবর, বিগত এক বছর ধরে এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন অরিজিৎ বিশ্বাস। বলিউডে ‘অন্ধাধুন’ ছবিটির চিত্রনাট্য লেখার পর প্রচারের আলোয় চলে আসেন অরিজিৎ। কয়েক বছর আগে প্রযোজক রানা সরকার ‘ঝিন্দের বন্দী’-র রিমেক তৈরির উদ্যোগ নেন। সেই সময় প্রথমে অঞ্জন দত্ত এবং পরে ছবির পরিচালক হিসাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছিল। যদিও পরে সেই ছবি বাস্তবায়িত হয়নি। শোনা যাচ্ছে, অরিন্দমের ছবিটির প্রযোজক এসভিএফ। এই ধরনের পিরিয়ড ড্রামার বাজেট অনেকটাই বেশি। ইন্ডাস্ট্রির এক সূত্রের দাবি, প্রযোজনার ক্ষেত্রে এই ছবিতে এসভিএফ-এর সঙ্গে হাত মেলাতে পারে ক্যামেলিয়া। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি মূল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তমকুমার। রাজা শঙ্কর সিংহের অন্তর্ধান নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। তার পর আসল রাজার স্থানে আসে নকল রাজা গৌরী শঙ্কর। এই দুই চরিত্রেই ছিলেন মহানায়ক। অন্য দিকে ময়ূরবাহনের চরিত্রে অভিনয় করেন সৌমিত্র। তবে অরিন্দমের ছবিতে যিশু এবং অনির্বাণের মধ্যে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ছবির কাস্টিং এবং চিত্রনাট্য নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে।