বাস্তবে তা হলে কাকে ভালবাসেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু? কবে বিয়ে করবেন? তখনই রহস্য ফাঁস। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘সব করব, বিয়ে করব না!’’ কেন? নায়িকার যুক্তি, মনের মানুষ যদি কথা দিয়ে কথা না রাখে! তখন তিনি কী করবেন তা হলে? তার থেকে পেশার সঙ্গে প্রেম করা বুদ্ধিমানের কাজ।
‘কমিটমেন্ট ফোবিয়া’য় ভুগছেন সৌমিতৃষা?
অভিনয়ের পাশাপাশি নতুন কাজ বেড়েছে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর। সারা দিনের পরে রোজ নাকি নিয়ম করে নেট খুলে নিজের নাম খুঁজছেন। দেখছেন, নতুন কী খবর বেরোল! এটা নাকি নেশা হয়ে গিয়েছে। একান্ত আড্ডায় জি বাংলার ‘মিঠাই রানি’ রবিবার রাতে অনর্গল আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে। তখনই হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘প্রতি দিন এমন নিত্য নতুন খবর বেরোয় আমায় নিয়ে যে, আমিই চমকে যাই। সে সব দেখতে দেখতে নিজেকে নিয়ে খবর খোঁজা অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।’’
পর্দার ‘মিঠাই’ তালিকাও পেশ করেছেন। জানিয়েছেন, কত রকমের ভুয়ো খবর হয় তাঁকে নিয়ে। প্রেম-বিয়ের গল্প বাসি হয়ে গিয়েছে। নতুন কারও সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। তাই ওই বিষয় আপাতত বাদ। বদলে, তিনি সোমু সরকারের (ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’-এর ‘নোলক’) কাছে নাকি হেরে গিয়েছেন, এই খবর ছড়িয়েছে। নতুন এসেই অভিনেত্রী সোমু পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। আপাতত এই গল্পেই সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ। তাঁর ঝুলিতেও যে অগুন্তি সম্মান সে খবর কে রাখে! দ্বিতীয় রটনা, দেড় বছর পরে হঠাৎ আবিষ্কার, ‘মিঠাই’ চরিত্রে নাকি অন্য নায়িকার অভিনয় করার কথা ছিল। সৌমিতৃষা নাকি ঘটনাচক্রে সুযোগ পেয়েছেন! এ ছাড়া, পর্দার ‘জামাইবাবু’ সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি, এ খবরও মাঝে ভালই সাড়া ফেলেছিল।
অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘একটি প্রসঙ্গে সৌরভদাকে মজা করে বিয়ে নিয়ে বলেছিলাম, তা হলে এ বার বিয়ে করে নাও। সৌরভদাও পর্দার ভঙ্গিতেই পাল্টা রসিকতা করেছেন, তুমি অনুমতি দিলেই হবে! ব্যস, প্রথমে অনুরাগীরা খেপলেন। সেই দেখে সংবাদমাধ্যম। কেউ আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনটুকু বোধ করলেন না!’’ পর্দার ‘মিঠাই’-এর মতে, সহকর্মীর সঙ্গে সব সময়েই পেশাদার আচরণ করেন তিনি। ভুলেও তাঁদের সঙ্গে প্রেম নয়। ‘সিদ্ধার্থ’ ওরফে আদৃত রায় নাকি তাঁকে তাই মজা করে ‘পিসিমা’ বলে ডাকেন। ‘সলমন খান’ও বলেন। অভিনেতার দাবি, সৌমিতৃষার মধ্যে নাকি বেশ একটা পুরুষালি ব্যাপার আছে!
বাস্তবে তা হলে কাকে ভালবাসেন সৌমিতৃষা? কবে বিয়ে করবেন? তখনই রহস্য ফাঁস। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘সব করব, বিয়ে করব না!’’ কেন? নায়িকার যুক্তি, মনের মানুষ যদি কথা দিয়ে কথা না রাখে! তখন তিনি কী করবেন। তার থেকে পেশার সঙ্গে প্রেম করা বুদ্ধিমানের কাজ। পেশার প্রতি নিষ্ঠাবান হলে ঠিক তার পুরস্কার মেলে। মানুষ সেটা না-ও দিতে পারে। তা হলে কি ‘কমিটমেন্ট ফোবিয়া’য় ভুগছেন ‘মিঠাই’? সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমার এই ভয়টিও আছে। ফলে, জীবনে সমস্যা বাড়াতে চাই না।’’
নিজের কথার স্বপক্ষে উদাহরণও দিয়েছেন সৌমিতৃষা। বড় পর্দার সুপারস্টার দেব অধিকারী বর্ষবরণের বিশেষ অনুষ্ঠানে সবার সামনে বলেছেন, ‘‘মিঠাইকে আমার থেকে লোকে বেশি চেনে! ও তো সুপারস্টার।’’ আনন্দে ‘মিঠাই রানি’ মেঘমুলুকে ভাসছেন। একই সঙ্গে দাবি, মন দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই দেবের থেকে এই সম্মান পেয়েছেন। জি বাংলার এই ধারাবাহিক ‘বাংলা সেরা’ না থাকার সময়েও অনুরাগীরা একই ভাবে ভালবেসেছেন তাঁকে। উপহার পাঠিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। সৌমিতৃষার কথায়, ‘‘সব সহ্য করতে পারব, আর ‘মিঠাই’ দেখতে ভাল লাগছে না— এই কথাটা সহ্য করতে পারব না। তাই মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করছি।’’ এবং জনপ্রিয়তার এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই বড় পর্দা এবং সিরিজেও অভিনয় করতে চান তিনি। বিপরীতে দেব থাকলে তো কথাই নেই!