সৌমিক।
প্র: প্রথম পরিচালনার প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
উ: ‘ব্যোমকেশ’-এর পঞ্চম সিজ়নের থেকে যে ভাল সাড়া পাব, তেমনটা প্রত্যাশা ছিলই। তবে এর আগেও ‘বারুদ’ বলে একটা টেলিফিল্ম ডিরেক্ট করেছিলাম। ‘ব্যোমকেশ’ অনেক বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছে দিল।
প্র: ব্যোমকেশ হিসেবে অনির্বাণের (ভট্টাচার্য) হেয়ারস্টাইলে খানিকটা খোকার লুকের প্রভাব রয়েছে...
উ: ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর ঠিক পরেই ‘ব্যোমকেশ’ শুট করা। তাই একটা ছাপ চলে এসেছিল ঠিকই। হয়তো আরও সাত দিন পেলে ভাল হত।
প্র: সিনেমার চেয়ে ওয়েবের ট্রিটমেন্ট কতটা আলাদা ভাবে করলেন?
উ: সচেতন ভাবেই আগের সিজ়নগুলো দেখিনি। আলাদা করে ওয়েব হিসেবেও ট্রিট করিনি। সিনেমা হলেও যে ভাবে করতাম, সে ভাবেই শুট করেছি। আর পিরিয়ড পিসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাকশন ডিজ়াইন আর কস্টিউম। এ ক্ষেত্রে ঋতুপর্ণ ঘোষ যেটা দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন, সেটা ফলো করলেই যথেষ্ট। এখানকার বাজেট আর পরিকাঠামো নিয়ে তো আর ‘তানাজি’ বানাতে পারব না আমরা। যেমন, ‘চাঁদের পাহাড়’ ছিল আমার লার্নিং ফিল্ম। ভুলগুলো থেকে শিখেছিলাম।
প্র: ওয়েবের পরে কি এ বার ছবি?
উ: তেমনটাই ইচ্ছে। পদ্মনাভ দাশগুপ্ত এবং সৌগত বসুর সঙ্গে দুটো স্ক্রিপ্টের উপর কাজ করছি। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই যাতে দর্শককে একটা ছবি উপহার দিতে পারি।
প্র: আপনার অনুপ্রেরণা কারা?
উ: সুব্রত মিত্র। ছাত্রাবস্থায় ওঁকে অন্ধভাবে ফলো করতাম। সন্তোষ শিবনকেও খুব ফলো করি। আমি তো আদতে টেকনিক্যাল লোক। অভিনয় কী ভাবে এগজ়িকিউট করতে হবে, সেটা শিখেছি ঋতুদাকে দেখে। তবে প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণ ঘোষ ও শ্রীকান্ত মোহতা যদি না থাকতেন, তা হলে কিছুই সম্ভব হত না।
প্র: পরিচালনা করলে ক্যামেরা করবেন না, এমনটাই ঠিক করেছেন?
উ: আমার টিম এ ব্যাপারে খুব সাপোর্ট করেছে। আমাকেও তো টিমকে সাপোর্ট করতে হবে। তাই এর পর ডিওপি হিসেবেও কাজ করব, কিন্তু সংখ্যায় কম। পাশাপাশি পরিচালনাও করব ব্যালান্স করে।
প্র: এত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। পার্সোনাল ফেভারিট কে?
উ: সৃজিত (মুখোপাধ্যায়) সাংঘাতিক অ্যাম্বিশাস এবং অস্থির। প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়) ক্ল্যাসিকাল। অরিন্দমদার (শীল) মেকিং, প্রোডাকশন ডিজ়াইন অন্যদের চেয়ে আলাদা। লার্জার দ্যান লাইফ দৃশ্য মানেই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। আমি লাকি যে, এঁদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি।