আড়ি থেকে ভাব শুরু হল সৌজন্য-গুনগুনের?
‘আমার বৌটা সত্যিই পাগল? মাথায় পুরো ছিট! একে কী করে মানুষ করব কে জানে!’
বিয়ের পরে গুনগুনকে নিয়ে সত্যি সত্যিই ভাবতে বসল সৌজন্য? এত দিনের খুনসুটির মিষ্টি পরিণতি দুষ্টুমি মাখানো ভালবাসা। একদম অচেনা, অজানা দুই নর-নারীও যে সাতপাকে ঘোরার পর প্রেমে পড়তে পারে, মনে করাল স্টার জলসার ‘খড়কুটো’।
ধারাবাহিক শুরু থেকেই অন্য খাতে বইছে। চ্যানেলের সোশ্যাল পেজে নেটাগরিকদের মতামত বলছে, অণু পরিবারের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে সহাবস্থান যৌথ পরিবারের। মানুষের জীবনের এক মুঠো ভাল-মন্দ, চেনা হাসি-কান্না, রাগ-ক্ষোভ সহজ ভাবে প্রকাশিত। আর রয়েছে সহজ, মজাদার সংলাপ। যার জোরে অতিমারির মতো কঠিন সময়েও সহজেই ছোট পর্দা জয় করেছে ‘খড়কুটো’।
আরও পড়ুন: অতিমারির আতঙ্ক থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে সিমা-র ‘নামহীন’ প্রদর্শনী
পাশ্চাত্যের অনুসরণ করতে করতে এক সময় নিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকেই প্রায় ভুলতে বসেছিল বাঙালি। একটা সময়ে এই সমাজেই যে বিয়ের পর প্রেম হত, মনে রাখেনি কেউ। সেই হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি নতুন করে ফিরিয়ে দিল সৌজন্যের সংলাপ, ‘নরমে গরমে মানুষ করতে হবে।’
তার পরেই তার খটকা, ‘কিন্তু কাঁদল কেন তখন?’ সৌজন্যের এই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছে পটকা, বৌদি, জামাইবাবু, দাদা, ‘মেয়েটা যে কখন তোকে ভালবেসে ফেলেছে ও বোধহয় নিজেই জানে না।’
আরও পড়ুন: করিনার ক্রাশ কে? জানালেন অভিনেত্রী নিজেই
ঠিক একই ভাবে সৌজন্যকে আর ‘ক্রেজি’ বলে ডাকতে পারছে না গুনগুনও। মুখও বাঁকাতে পারছে না! বরং মুখোপাধ্যায় পরিবারের ছোট বৌয়ের চোখে কেমন যেন ঘোর লেগেছে। বাসর রাতে সৌজন্যের গলায় কিশোর কুমারের সুপারহিট গান ‘এক আজনবি হাসিনা সে’ শোনার পর থেকেই এই বদল।
এ ভাবেই কি আড়ি থেকে ভাব শুরু হল সৌজন্য-গুনগুনের?