প্রেমিকের নয়, পরিবারের ভালবাসা চেয়েছিলেন জিয়া, দাবি সূরজের। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ প্রায় এক দশকের অপেক্ষা। অবশেষে গত শুক্রবার প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় রায় দিল বিশেষ সিবিআই আদালত। প্রায় ১০ বছর ধরে মামলা চলার পরে শেষ পর্যন্ত জিয়ার মৃত্যু মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলেন অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে শুক্রবার তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি। দীর্ঘ দশ বছরের যন্ত্রণার অবসান হয়েছে, আদালতে বেকসুর প্রমাণিত হওয়ার পরে সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন সূরজ। তার দিন দু’য়েকের মধ্যেই জিয়ার পরিণতির জন্য অভিনেত্রীর পরিবারের দিকেই আঙুল তুললেন বলিউড অভিনেতা।
সূরজ জানান, মাত্র পাঁচ মাস জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন নাকি জিয়ার মানসিক অবস্থা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি সূরজ। তাঁর দাবি, প্রেমিকের নয়, পরিবারের ভালবাসা চেয়েছিলেন জিয়া। পরিবারের সদস্যরা তাঁর মন বুঝে তাঁকে সমর্থন করুন, সেটাই নাকি সব সময় চাইতেন অভিনেত্রী। ২০১২ সালেও নাকি আরও এক বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন জিয়া খান, জানান সূরজ। তিনি বলেন, ‘‘২০১২ সালে আমাদের যখন প্রথম পরিচয় হয়, আমরা তখনও প্রেমের সম্পর্কে আসিনি, তখনই জিয়া এক বার হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।’’ সূরজ বলেন, ‘‘এই ঘটনার কথা আমি জিয়ার মা রাবিয়াকেও জানিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, লন্ডন থেকে পরের দিনই মুম্বইয়ে আসছেন। কয়েক মাস কেটে গেলেও তাঁর দেখা মেলেনি।’’ সূরজের প্রশ্ন, ‘‘এটা কি একজন মা ও তাঁর সন্তানের মধ্যে সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ?’’