Pooja Bhatt

‘আপস মানেই সঙ্গীতের অপমৃত্যু’, পূজাকে তোপ দেগে কি সোনু নিগমকেই সমর্থন করলেন সোনা?

এই কথা বলে সোনা যেন পক্ষান্তরে সোনু নিগমের ‘মিউজিক মাফিয়া’ অভিযোগকেই সমর্থন করলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ১৩:২৮
Share:

বাঁ-দিক থেকে সোনা মহাপাত্র ও পূজা ভট্ট। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

এবার পূজা ভট্টকে তোপ দাগলেন সোনা মহাপাত্র। অভিনেত্রীর গতকালের একটি টুইটের জবাব দিতে গিয়ে তাঁর ক্ষোভ, ‘‘এটাই বলিউডের আসল চেহারা। এখানে হয় তুমুল শোষণ করা হয়। নয় তো শোষিত হন সবাই মুখ বুজে। কিন্তু কেউ মনে রাখেন না, যেদিন থেকে আপস শুরু হয় সেদিন থেকে অপমৃত্যু হয় সঙ্গীতের।’’

Advertisement

এই কথা বলে সোনা যেন পক্ষান্তরে সোনু নিগমের ‘মিউজিক মাফিয়া’ অভিযোগকেই সমর্থন করলেন।

গতকাল টুইটারে বাবা মহেশ ভট্টের হয়ে মুখ খুলে বিপদেই পড়েছেন পূজা ভট্ট। “বিশেষ ফিল্মস যোগ্যদের জায়গা দেয়। নেপোটিজম শব্দ তাই এঁদের জন্য নয়”, এ কথা বলে ইতিমধ্যেই নেটাগরিকদের ট্রোলের মুখে তিনি। তার ওপর কঙ্গনা রানাওতের নাম নিতেই রে রে করে উঠেছে অভিনেত্রীর টিম। তাদের দাবি, বিশেষ ফিল্মস নতুন প্রতিভাদের দিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নেয়। এর পরেই পূজাকে মিষ্টি করে দু’চার কথা শুনিয়ে দিলেন সঙ্গীত শিল্পী সোনা মহাপাত্রও।

Advertisement

স্পষ্ট ভাষায় অভিনেত্রীকে সোনার পরামর্শ, ‘‘সমালোচনা করুন। কিন্তু নিজের বাবার পক্ষ সমর্থন করে তাঁর দোষ ঢাকার চেষ্টা করবেন না।’’

পূজার কোন কথায় ক্ষুব্ধ সোনা? মহেশ বা মুকেশ ভট্ট যে স্বজনপোষণ করেন না, এর স্বপক্ষে পূজা উদাহরণ দিয়েছিলেন, আগামী ছবি ‘সড়ক ২’-র প্রথম গান ‘ইশক কামাল’ কিন্তু চণ্ডীগড়ের এক অখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সুনীলজিতের তৈরি। মহেশ তাঁর গান একবার শুনেই গানটি নিয়ে নেন ছবির জন্য। এরপরেও কি ভট্ট কোম্পানিকে দুষবেন সবাই?

এরই প্রত্যুত্তরে সোনা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই বিশেষ প্রোডাকশন খুব ভাল কাজ করেছে। কিন্তু কতটা কৃতিত্ব সুনীলজিতকে দিচ্ছেন আপনারা? এঁরা যে সুযোগ পাচ্ছেন, সেটা কিন্তু বার বার বলে এঁদের আদতে ছোট করা হয়। এটাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ট্র্যাজেডি।’’

আরও পড়ুন: ব্যর্থ কেরিয়ার, দুই ফ্লপ নায়কের সঙ্গে সম্পর্ক, এখনও অবিবাহিত কাজলের বোন তানিশা

এখানেই কিন্তু থামেননি গায়িকা। তাঁর আরও আক্ষেপ, সুযোগের বদলে অর্থ রোজগারের এই পথ কিন্তু প্রকৃত প্রতিভার বিকাশ নষ্ট করে দেয়। সুযোগ না পাওয়ার ফলে অনেক সময়েই ভাল শিল্পী এবং শিল্পের অপমৃত্যু ঘটে। যা কখনওই কাম্য নয়।

সোনার আরও দাবি, ছবির গান হিট হওয়ার পর সুরকার বা সঙ্গীতকার এককালীন টাকা পাওয়ার পর আর কিছুই পান না। পরিচিতিটুকুও অনেক সময় আড়ালে থেকে যায়। কিছু স্বীকৃতি জোটে শিল্পীর কপালে। প্রতিভাশালীদের নেকনজরে না পড়লে সব শিল্পীর ভাগ্যে তাও জোটে না।

সোনার এই কথা যেন খুঁচিয়ে সামনে আনল পুরনো অসন্তোষকেই, এটাই কি শিল্পের প্রতি ন্যায়বিচার?

আরও পড়ুন: রায়বাড়ির পুজোয় ঢাক বাজাবে যমুনা ঢাকি?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement