ট্রেলার সামনে আসা মাত্রই ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে নিয়ে তৈরি এই ছবি নিয়ে দর্শকের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। মনমোহন সিংহের ভূমিকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অনুপম খের। চমকে দিয়েছেন আরও একজন, ছবিতে যাঁকে সনিয়া গাঁধীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। সেই বিদেশিনীর আসল পরিচয় জেনে নেওয়া যাক।
‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবিতে সনিয়া গাঁধীর ভূমিকায় যাঁকে দেখা গিয়েছে তিনি সুজেন বার্নার্ট। এটি কিন্তু সুজেনের প্রথম ছবি নয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতে দেখা গিয়েছে সুজেনকে।
‘হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘নো প্রবলেম’ ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছে সুজেনকে। একাধিক টেলি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন তিনি।
‘কসৌটি জিন্দেগি কে’, ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যয়’— টেলিভিশনের এই সিরিয়ালগুলিতেও সুজেনের অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছিল।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘রামধনু’ ছবিটিতেও দেখা গিয়ছিল সুজেনকে।
জার্মানির ডেটমোল্ডে সুজেনের জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। তবে সনিয়া গাঁধীর ভূমিকায় কিন্তু এই প্রথম বার অভিনয় করলেন না সুজেন। এর আগেও ‘প্রধানমন্ত্রী’ নামের একটি ডকুমেন্টারি সিরিজেও সনিয়া গাঁধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এই বিদেশিনী।
তবে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’-এর জন্য প্রথমে এক ইতালীয় অভিনেত্রীকেই পছন্দ হয়েছিল ছবির প্রযোজকদের। কিন্তু সুজেনের অডিশন নেওয়ার পর তাঁরা চমকে যান।
‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’-এর প্রযোজক সুনীল বোহরার কথায়, ‘‘শুধু যে সনিয়া গাঁধীর মতোই দেখতে তাই নয়। সুজেনের কথা বলার ধরনও খুব মেলে সনিয়াজির সঙ্গে।’’
১৯ বছর বয়সে বার্লিনের একটি ফিল্ম স্কুল থেকে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন সুজেন। ২০০৫ সালে মুম্বইতে পা রাখেন অভিনেত্রী।
একাধিক ভাষার প্রতি দখল রয়েছে ৩৬ বছর বয়সী সুজেন বার্নাটের। ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, জার্মান, স্প্যানিশ এ সবের পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি এবং মরাঠিও বলতে পারেন সুজেন।
২০০৯ সালে অভিনেতা অখিল মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় সুজেনের।