সোনাক্ষী
ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের যে সহজ মাধ্যম বেছে নিয়েছিলেন তারকারা, সেই মাধ্যম থেকেই এখন মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেলেব্রিটিদের নাগাল পাওয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। তারকাদের দুনিয়ার ঝলক পাওয়া যায় এক ক্লিকে। শাহরুখ খানের মতো তারকাকে টুইটার লাইভে সরাসরি প্রশ্ন করা যায়। তারকারাও এত দিন তাঁদের সিনেমার প্রচার, ব্র্যান্ডের প্রোমোশনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে এসেছেন। সব ভালরই কিছু খারাপ দিক থাকে। টুইটারে ভেসে আসা প্রশংসা, স্তুতির স্রোতের সঙ্গে মিশে থাকে নিন্দেও। কখনও কখনও তা সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বইকি। যে কারণে সোনাক্ষী সিংহ, সাকিব সালিমরা ঠিক করে নেন, তাঁরা টুইটার ছেড়ে দেবেন।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়ার আগে সোনাক্ষী লেখেন, ‘‘নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতে চাই, যা টুইটার ক’দিন ধরে ছড়াচ্ছে।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হওয়া সেলেব জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সোনাক্ষীর মতো স্টার কিডরা খুব সহজেই নিশানার অভিমুখ হচ্ছেন। যে কারণে নিজের টুইটার ছাড়ার খবর ইনস্টাগ্রামে দিয়ে অভিনেত্রীর ক্যাপশন, ‘আগ লগে বস্তি মে... ম্যায় আপনি মস্তি মে!’ নেতিবাচক মন্তব্য, দোষারোপের কারণে টুইটার ছেড়েছেন সাকিব সালিমও। তাঁর মতে, ‘‘একটি বন্ধুত্বপূর্ণ মাধ্যম ক্রমশ ঘৃণা ছড়ানোর রাস্তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’ কিছু দিন আগে পরিচালক শশাঙ্ক খৈতানও টুইটার ত্যাগ করেছিলেন। ঘৃণা, হিংসা ছড়ানোর কারণে টুইটার থেকে অনেকের প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেটও করে দেওয়া হয়। যেমন কঙ্গনা রানাউতের দিদি রঙ্গোলি চান্ডেলের করা হয়েছিল।
মাত্রাতিরিক্ত ট্রোলিং, ঘৃণা ছড়ানোর নিয়ে এর আগেও সেলেবরা সরব হয়েছেন। অন্য দিকে তারকাদের টুইটার ছাড়ার ঘটনায় আরও কিছু প্রশ্নও উঠে আসছে। সমালোচনা হলেই কি তারকারা পিঠটান দেবেন? এমন প্রশ্নও তুলছেন নেটিজ়েনরা।
আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য