অরুণাচলে সোহিনী

টলিউড সেলেব্রিটিদের মধ্যে সোহিনী সরকারের অন্যতম প্যাশন নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে হাতে কয়েক দিন সময় পেলেই পাড়ি জমান নতুন কোনও জায়গায়। গত বছরেই হঠাৎ বেরিয়ে পড়েছিলেন সন্দাকফুতে। এমনকী ট্রেকিংয়ের প্রস্তুতিটুকুও ছিল না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৫৬
Share:

প্যাংকং তেং সো লেকে

টলিউড সেলেব্রিটিদের মধ্যে সোহিনী সরকারের অন্যতম প্যাশন নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে হাতে কয়েক দিন সময় পেলেই পাড়ি জমান নতুন কোনও জায়গায়। গত বছরেই হঠাৎ বেরিয়ে পড়েছিলেন সন্দাকফুতে। এমনকী ট্রেকিংয়ের প্রস্তুতিটুকুও ছিল না। তবে এ বার সেই পথে না গিয়ে পরিকল্পনা ছকেই ১৫ দিনের জন্য তিনি ঘুরে এলেন অরুণাচল প্রদেশ। সেখান থেকে ফিরে যারপরনাই খুশি অভিনেত্রী।

Advertisement

তিনি বললেন, ‘‘ওয়েস্ট কামিং ডিস্ট্রিক্ট দিয়েই শুরু করেছিলাম আমার অরুণাচল যাত্রা। এটা একটা হেরিটেজ ভিলেজ। সেখানে দু’দিন কাটিয়ে দিরাংয়ে গিয়েছিলাম। পরের দিন তাওয়াং গেলাম। ওখানে রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় মনাস্ট্রি। গুমলা পাসে ইন্দো চায়না বর্ডারেও গিয়েছিলাম।’’

সেলা পাসের মাঝে

Advertisement

বেশির ভাগ জায়গাতেই থাকার জন্য বেছে নিয়েছিলেন হোম স্টে। সেখানে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্বও তৈরি হয়। ওখানকার বিভিন্ন গ্রামের ভাষা আলাদা। তবে সেই নিয়ে সমস্যা হয়নি সোহিনীর। ‘‘আমি হিন্দিতে কথা বলছিলাম। ওরা সবটুকু বুঝতে না পারলেও আমার বক্তব্য বুঝতে পারছিল।’’

অরুণাচলে গিয়ে রোজকার বাঙালি খাবার নয়, বরং স্থানীয় খাবারেই মেতে উঠেছিলেন সোহিনী। ইয়াকের মাংস, লাই পাতা সিদ্ধ গোছের খাবার খেতে হত ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে। থেমবাং-এ তো একদিন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে সারা দিন মাঠে কাজও করলেন। ট্রেকিংও করেছিলেন ওখানে। সন্ধেবেলা হোম স্টে-তে কচিকাঁচাদের গল্পের ছলে পড়িয়ে মজাও পেয়েছেন।

তবে কোনও সঙ্গী ছাড়াই, গোটা সফরটা একা ঘুরে এলেন তিনি। ওখানকার প্রত্যন্ত অ়ঞ্চলে ফোনের নেটওয়র্কও কাজ করত না। অস্বস্তি হয়নি? ‘‘প্রকৃতিকে উপভোগ করতে হলে একাই তো ভাল,’’ হেসে বললেন সোহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement