আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নগ্নপ্রায় শরীর মেলে ধরে একের পর এক নিজস্বী তুলে চলেন সোফিয়া, ছবিতেই বানিয়ে ফেলেছেন পুণে যাপনের কোলাজ। — ফাইল চিত্র।
পুণে সফরে কোনও সঙ্গী নেই সোফিয়া আনসারির। একাই উপভোগ করছেন অলস দিন। ছুটি কাটাতে গিয়েও তিনি একাই একশো! হাতেই যে রয়েছে মুঠোফোনের ক্যামেরা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নগ্নপ্রায় শরীর মেলে ধরে একের পর এক নিজস্বী তুলে চলেন তিনি, আর তা দিয়েই বাজিমাত। ছবিতেই বানিয়ে ফেলেছেন পুণে যাপনের কোলাজ। তাতে ধরা রয়েছে প্রতিটি দিন, প্রাতরাশ থেকে শুরু করে স্নানে যাওয়ার আগের মুহূর্ত।
ছবিতে দেখা যায়, কালো অন্তর্বাসে বক্ষদেশ ঢেকেছেন, নিমাঙ্গে একফালি নীল বিকিনি সোফিয়ার। চুল আলুথালু করে বাঁধা ক্লাচারে। পাশে পড়ে সাদা তোয়ালে। গলায় সরু রুপোলি চেন। হাতে খয়েরি ম্যাট নেলপলিশেও উগ্র আবেদন। হাসিমুখে নিজস্বী তুলেছেন মডেল-তারকা। আর একটি ছবিতে আবার মেলে ধরেছেন নিজের ভারী নিতম্ব। ফ্রেম জুড়ে সোফিয়ার কটিদেশ। নিমেষে লক্ষ লক্ষ ভক্তের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন সোফিয়া সেই ছবিতে।
হোটেলের ঘরে কাঠের আসবাব। খাবারের প্লেটে অ্যাভোকাডো আর অমলেট। দূরে চেয়ারের পাশে ছেড়ে রাখা সাদা স্নিকার্স বলে দিচ্ছে একটু আগেই দৌড়ে ফিরেছেন সোফিয়া। মাথার চুলও ঘামে ভেজা। তাই অনুরাগীদের অনুমান, স্নানে যাওয়ার আগেই নিজেকে দেখে মোহিত সোফিয়া। আত্মরতি ভাগ করে নিলেন সবার সঙ্গে। ছবি দেখে প্রশংসায় ভরালেন সবাই। সোফিয়ার ফিটনেস আর সৌন্দর্য যে অনন্যসাধারণ, হাজার হাজার মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত। একগুচ্ছ ছবির কোলাজের ক্যাপশনে সোফিয়া লিখেছেন, “পুণে ডায়েরিজ়’’।
বয়স ১৮ হতে না হতেই ভাগ্যান্বেষণে তৎপর হয়েছিলেন গুজরাতের কন্যা সোফিয়া। ১০ বছরের বেশি পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন বলেও জানা যায়। ইউটিউব ভিডিয়ো এবং রিলের মতো কনটেন্ট বানিয়েই শেষমেশ তাঁর ভাগ্য ফেরে। ২০১৩ সালে নিজের নামেই ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন সোফিয়া আনসারি। ২০১৭ সালে ‘ইক কুড়ি’ গানের ভিডিয়োতে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। মূল গানটি গেয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ।
এর পর ২০২০ সালে ‘এম এক্স টকাটক’ শোয়ে আবার একটি গানের দৃশ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন সোফিয়া। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এর পরই। সমাজমাধ্যমে এক দৌড়ে তিনি তারকা হয়ে যান। বর্তমানে তাঁর খোলামেলা পোশাকের ধরণ দেখে অনেকেই মডেল-তারকা উরফি জাভেদের সঙ্গে তুলনা টানতে চান।