স্মিতা পাতিল। ছবি: সংগৃহীত
ছবিতে গানের দৃশ্যে অভিনেত্রী কী ভাবে ঠোঁট নাড়াবেন (লিপ সিঙ্ক) গানের তালে তালে, তারও রকমফের রয়েছে। নিছক ঠোঁট নাড়িয়ে অভিনয় নয়, কণ্ঠে জোর দিয়ে গানের ছন্দে ঠোঁট নাড়াতে হয়। এই প্রসঙ্গে এক সময় মতামত জানিয়েছিলেন স্মিতা পাতিল। এক সঙ্গীতশিল্পী তাঁকে জানিয়েছিলেন, পূর্বে এই ভাবেই কণ্ঠে জোর দিয়ে গানের দৃশ্যে অভিনয় করা হত। কিন্তু পরের প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে সেই প্রবণতা দেখা যায়নি।
তাঁর সমসাময়িক সঙ্গীতশিল্পীরা যখন গান রেকর্ড করতেন, অভিনেত্রীরা সেখানে উপস্থিত থাকতেন। সঙ্গীতশিল্পীর মুখের অভিব্যক্তি, কোথায় কতটুকু হাসতে হবে, কতটুকু লজ্জা বা ইশারা ফুটিয়ে তুলতে হবে, তা অনুসরণ করতেন অভিনেত্রীরা। নাম উল্লেখ না করে এক সঙ্গীতশিল্পীর প্রসঙ্গে স্মিতা বললেন, “তিনি আমাকে ফোন করে বলতেন, ‘আমি এই গান রেকর্ড করছি। আমার মনে হয় তোমার এসে দেখা উচিত।’ ওঁর কথা শুনে আমিও চলে যেতাম। কারণ আমি সত্যিই ওঁর গুণমুগ্ধ।”
তবে অভিনেত্রী এ-ও জানিয়েছিলেন কণ্ঠে জোর দিয়ে অভিনয় করলে চিবুকের নীচে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। ফলে মুখের সৌন্দর্যে খানিক ভাটা পড়ে। তাঁর কথায়, “খুব কুৎসিত লাগে দেখতে। কিন্তু গানের দৃশ্যে অনুভূতি পুঙ্খানুপুঙ্খ ফুটিয়ে তুলতে এই অভ্যাস জরুরি।”