গায়ক কেকে।
নিজেকে কোনও সীমানায় বেঁধে রাখা পছন্দ ছিল না কেকে-র। কারও ছায়ায় থাকাও ছিল না পসন্দ। সেই অপছন্দের জায়গা থেকেই সলমনের ছবির নেপথ্য গায়ক হিসেবে কেরিয়ারের অন্যতম বড় হিট পেয়েও পরে একটা সময়ে আর সলমনের জন্য গান গাইতে চাননি কেকে। কারণ জানতে চাইলে বলেছিলেন, নির্দিষ্ট কোনও অভিনেতার কণ্ঠ হয়ে থাকতে চান না। কারও পরিচয়কে নিজের পরিচয়ও তৈরি করতে চান না।
অথচ এই সলমনের ছবিতেই নেপথ্য গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা কেকে-র। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির ‘তড়প তড়পকে’ গানটি তাঁরই গাওয়া। তার পরও সলমনের বহু ছবিতে কাজ করেছেন কেকে। শেষ ২০১৫ সালে ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ ছবিতে কেকে-র গাওয়া ‘তু যো মিলা গান’টিও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সলমনের কণ্ঠ হিসেবে তাঁর পরের ছবিতে কাজ করার কথা তখনই জানতে চাওয়া হয়েছিল কেকে-র কাছে। জবাবে কেকে বলেছিলেন, ওঁর জন্য গান গাইতে আমার ভালই লাগে। কিন্তু আমি কোনও একজনের কণ্ঠ হয়ে থাকতে চাই না।
কেকে চাইতেন, তাঁর কণ্ঠ হবে মৌলিক, যেখানে যেমন দরকার, সেখানে নিজেকে সে ভাবে ব্যবহার করবেন। ছকে পড়তে চাননি। হয়তো কেকে-র এই শর্তের জন্যই তাঁর সমসাময়িক অন্য শিল্পীদের মতো বলিউডে তথাকথিত জনপ্রিয়তা পাননি শিল্পী। তবে, কেকের অনুরাগীরা বঞ্চিত হননি। তাঁরা সেই শুরুর দিনের ‘পল ইয়াদ আয়েঙ্গে শুনে’ থেমন আবেগে ভেসেছেন, তেমনই ‘অলবিদা’য় থমকেছেন।
শেষবার রণবীর সিং এবং দীপিকা পাড়ুকোনের সিনেমা ‘৮৩’-র জন্য নেপথ্য সঙ্গীত গেয়েছেন কেকে। আরও একটি গান গেয়েছিলেন। তবে সেই গান মুক্তি পায়নি এখনও।