বাঁ দিকে কারমালা এবং ডান দিকে অনুরাধা।
দু’দিন আগেই কেরলের এক মহিলা, কারমালা মডেক্স দাবি করেছিলেন তিনি গায়িকা অনুরাধা পড়োয়ালের মেয়ে। শুধু দাবি করাই নয়, অনুরাধা পড়োয়ালের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলাও দায়ের করেছেন ওই মহিলা। গোটা ঘটনায় প্রথমে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুললেন অনুরাধা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অনুরাধার বলেন, “এ সমস্ত বোকা বোকা কথার উত্তর দিতে আমি একেবারেই বাধ্য নই। এই সমস্ত অবান্তর কথার উত্তর দেওয়া মানে নিজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা।”
ঠিক কী হয়েছিল? গত শুক্রবার বছর পঁয়তাল্লিশের কারমালা আচমকাই করেন, অনুরাধা ও তাঁর স্বামী অরুণই তাঁর বায়োলজিক্যাল মা-বাবা। কারমালার যখন বয়স মাত্র চার দিন, তখন নাকি তাঁরা পোন্নাচান (পালক বাবা) ও অ্যাগনেস (পালক মা)-কে দিয়ে দেন। ব্যস্ততার জন্যই নাকি এমনটা করেছিলেন অনুরাধা এবং তাঁর স্বামী, দাবি করেছিলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন-আগেও করেছেন, আবারও কাজলের সঙ্গে একই ভাবে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ সইফের!
শুধু তাই নয়, কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে জেলা পারিবারিক আদালতে অনুরাধা পড়োয়াল ও তাঁর স্বামী অরুণ পড়োয়ালের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করে কারমালা জানান, তাঁর পালক বাবা পোন্নাচান যখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন তখনই না কি গোটা বিষয়টি বলে যান তাঁকে। কিন্তু তাঁর পালক মা অ্যাগনেস, যিনি এখন অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত, তিনি নাকি বিষয়টি জানতেনই না। পোন্নাচান ও অ্যাগনেসের তিনটি সন্তান ছিল, কারমালাকে তাঁরা চতুর্থ সন্তান হিসেবে লালন পালন করেন।
ওই মহিলার দাবি এর আগেও নাকি একাধিকবার অনুরাধার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রত্যেকবারই অনুরাধা তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি। উপরন্তু তাঁর নম্বরও নাকি ব্লক করে দিয়েছিলেন গায়িকা। যদিও অনুরাধার মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “এই মহিলার দাবি তিনি অনুরাধার মেয়ে। তিনি অনুরাধা এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করেছেন। অথচ তিনি জানেনই না যে তাঁর স্বামী অরুণ বর্তমানে মৃত। তিনি যদি সত্যিই অনুরাধার মেয়ে হন তবে ওঁর উচিৎ অনুরাধাকে টাকা দেওয়া।”
অনুরাধা ও অরুণের দুই সন্তান রয়েছে, ছেলে অদিত্য ও মেয়ে কবিতা। অনুরাধার এখন বয়স ৬৭ বছর। ২০১৭ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান অনুরাধা পড়োয়াল।