বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স তলপড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
‘আমার ছোট্ট মেয়েটা রোজ উদ্বেগ নিয়ে স্কুলে যায়। ওকে আরও ভয় পাইয়ে দেওয়া হয় এই ধরনের পোস্ট করলে…’ নিজের ভুয়ো মৃত্যুসংবাদ প্রসঙ্গে এ ভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শ্রেয়স তলপড়ে।
২০২৩ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর। সেই প্রসঙ্গে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি বার্তা দেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, “আমার প্রিয়জনেরা, আমি সকলকে নিশ্চিন্ত করতে চাই এটা জানিয়ে, আমি বেঁচে আছি, সুস্থ আছি, আনন্দে আছি। আমার মৃত্যুর ভুয়ো খবর সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বুঝতে পারছি এর মধ্যে একটা কৌতুক রয়েছে। কিন্তু এটা অন্যদের, বিশেষত আমার আত্মীয়, পরিজনের মধ্যে আতঙ্ক, উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। তা থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।”
এই প্রসঙ্গে মেয়ের কথা জানালেন শ্রেয়স। গত বছর অভিনেতা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকেই ছোট্ট মেয়েটি উদ্বেগে থাকে। নিশ্চিন্তে পড়াশোনাও করতে পারে না। শ্রেয়সকে বার বার সে জিজ্ঞেস করে, শরীর ঠিক আছে কি না, কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না! স্কুলে গিয়েও বার বার বাবার কথা জানতে চায়, এমনকি শিক্ষকদেরও প্রশ্ন করে। এই পরিস্থিতিতে শ্রেয়সের ভুয়ো মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় সন্তানের উপর বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অভিনেতা। তিনি দাবি করেন, “মেয়ের মনে গভীর প্রভাব পড়ছে। আমরা পারিবারিক ভাবে ওর মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু যাঁরা এ ভাবে ক্রমাগত ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে এ সব বন্ধ করুন। কারণ, যাঁর নামে খবর ছড়াচ্ছে তাঁর থেকেও বেশি তাঁর পরিবার, বিশেষত ছোটরা আহত হচ্ছে।”
একেবারে শেষে তিনি প্রায় হুঁশিয়ারির সুরে লিখেছেন, “দয়া করে বন্ধ করুন এ সব। কারও জীবন নিয়ে মজা করবেন না। আমি কখনওই চাই না এমন ঘটনা আপনাদের সঙ্গেও ঘটুক। তাই সমাজমাধ্যমে ব্যস্ত থাকা বা ‘লাইক’পাওয়ার জন্য এমন করবেন না। অন্যের আবেগের বিষয়ে আরও একটু সংবেদনশীল হওয়া দরকার।”
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ও পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি’। এই ছবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চরিত্রে অভিনয় করছেন।