সলমন খান। ছবি ফেসবুক থেকে।
বলিউড সুপারস্টার সলমন খানকে খুনের ছক কষেছিলেন পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা খুনে ধৃত শার্পশ্যুটাররা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এ বার প্রকাশ্যে এল। সলমনকে হত্যা করতে রীতিমতো রেইকি করেছিলেন আততায়ীরা। তবে শেষ পর্যন্ত হামলার ছক বানচাল হয়ে যায়।
পঞ্জাবি গায়ক সিধুকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কপিল পণ্ডিত, সচিন বিষ্ণোই, সন্তোষ যাদবকে। তাঁদের জেরা করেই সলমনকে হত্যার ছকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার সময় থেকেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে পড়েন সলমন। মুম্বইয়ে অভিনেতার বাড়িতে হুমকি চিঠি পাঠানো হয় বলেও অভিযোগ।
সম্প্রতি মুসে ওয়ালা খুনে ধৃত ওই তিন শার্পশ্যুটার সলমনকে খুনের ছক নিয়ে মুখ খুলেছেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ‘ভাইজান’কে হত্যা করতে একটি আবাসনে ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন আততায়ীরা। সেখান থেকে সলমনের গতিবিধির উপর নজর রাখতেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সুপারস্টারকে খুনের জন্য ‘প্ল্যান বি’ ছিল লরেন্স বিষ্ণৌইয়ের।
‘নিউজ ১৮’-এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, সলমনকে হত্যার দায়িত্ব বর্তেছিল কপিল পণ্ডিতের উপর। অভিনেতার বাংলোর কাছে মুম্বইয়ের পানভেলে একটি ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন কপিল ও সন্তোষ যাদব। প্রায় দেড় মাস ধরে সলমনের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছে পিস্তল, কার্তুজ ছিল। তাঁরা এ-ও জেনেছিলেন যে, গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে সলমনের গাড়ি কম গতিতে চলে।
এতেই শেষ নয়, সলমনের বাংলো সংলগ্ন রাস্তায় কোথায় কত গর্ত আছে, তা-ও নখদর্পণে ছিল আততায়ীদের। নায়কের ভক্ত পরিচয় দিয়ে বাংলোর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্ধুত্বও পাতিয়েছিলেন শার্পশ্যুটাররা। রক্ষীদের থেকে সলমনের খবরাখবর নিতেন তাঁরা। সলমনকে খুন করতে তাঁর বাংলোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন আততায়ীরা। কিন্তু কোনও কারণে সেই ছক বানচাল হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, মুসে ওয়ালাকে খুনের পরই সলমন ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে গ্যাংস্টাররা হুমকি-চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে খবর ছড়ায়। এর পর মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেতা। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন সলমন। সেই মতো, সলমনকে বন্দুক রাখার লাইসেন্স দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে সলমনকে খুনের ছক নিয়ে জেরায় মুসেওয়ালাকে হত্যার অভিযুক্তরা যে তথ্য পেশ করলেন, তা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।