ছবি সংগৃহীত।
অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গেল ‘দাদাগিরি’র শুটিং। শুক্রবারও শুটিং শুরু না হওয়ায় আগামী রবিবার থেকে ‘দাদাগিরি’র নতুন পর্ব সম্প্রচার করা সম্ভব হবে না।
এই নিয়ে তিনবার শুটিং শুরুর তারিখ পিছোল ‘দাদাগিরি’র। তার উপরে দাদা অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত কোয়রান্টিনে রয়েছেন, কারণ তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় কোভিড-১৯ পজ়িটিভ। তাই সৌরভ-সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যই আগামী ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে। শুটিং পিছিয়ে যাওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েছেন শোয়ের পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, ‘‘চ্যানেল থেকে জানানো হয়েছিল, শুটিং শুরু হবে শুক্রবার। কিন্তু টিভিতে সৌরভের আইসোলেশনে যাওয়ার খবর দেখে চমকে উঠি।’’ এ প্রসঙ্গে চ্যানেলের ক্লাস্টার হেড (ইস্ট) সম্রাট ঘোষ বললেন, ‘‘দাদার আইসোলেশনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেই শুটিংয়ে ফিরব, সব সুরক্ষাবিধি মেনে। তবে দর্শকের জন্য চমক রয়েছে। নতুন নন-ফিকশন আসছে।’’
গতকাল ‘দাদাগিরি’র সেটে শুরু হয়েছে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর শুটিং। শোনা গিয়েছে, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি নিয়ে গতকাল শুটিং করেছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, তাঁর কমপ্লেক্সেও করোনার হানা। তাই তাঁর শুটিং চালিয়ে যাওয়াও অনিশ্চিত।
এদিকে হোটেলে নন ফিকশনের শুটিং শুরু হওয়ায় ‘ওয়েলফেয়ার অ্যাসোশিয়েশন অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টুডিয়োজ়’-এর তরফে অভিযোগ উঠেছে, অন্য স্টুডিয়ো বেছে না নিয়ে কেন হোটেলে শুটিং করা হচ্ছে? তাঁদের বক্তব্য, স্টুডিয়োতে শুটিং করলে কোনও ব্যক্তি সংক্রমিত হলেও তা কম সংখ্যক ব্যক্তির মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু হোটেলে বহু লোকের আনাগোনা হওয়ায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অ্যাসোশিয়েশন এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও দরবার করবে বলেই খবর।
শোনা গিয়েছে, হোটেলে ‘দাদাগিরি’র সেট তৈরির সময় এক টেকনিশিয়ানের জ্বর ধরা পড়ায় তৎক্ষণাৎ তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। তিনি কোভিড আক্রান্ত না হলেও সুরক্ষার ব্যাপারটি আরও জোরদার করা হয়। শুটিংয়ের অনুমতি নিয়ে পুলিশ বিশদে পর্যবেক্ষণ করতেই পিছিয়ে যায় দ্বিতীয় বারের শিডিউল।
এ বার করোনা প্রবেশ করেছে স্বয়ং দাদার বাড়ির অন্দরে। ফের কবে ব্যাটিংয়ে ফেরেন দাদা ও ‘দাদাগিরি’র পুরো টিম, এখন তারই অপেক্ষা।