সুশান্ত-শিবানী।
সুশান্তের মৃত্যুর দিন তাঁর অ্যাম্বুল্যান্সের আশেপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল এক মহিলাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োগুলিতে দেখা যায় কখনও কানে ফোন নিয়ে কথা বলছেন সেই মহিলা আবার কখনও বা মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কে তিনি? রিয়া নন, সুশান্তের দিদি নন। তবে? ফারহান আখতারের প্রেমিকা শিবানী দান্ডেকর!
নেটাগরিকদের একাংশের ধারনা ছিল তাই-ই। কেউ কেউ আবার আঙুল তুলেছিলেন রিয়া চক্রবর্তীর বেস্ট ফ্রেন্ড সিমোনের দিকেও। নেটাগরিকদের ‘সন্দেহের তালিকা’-য় শিবানী’র নাম জুড়ে যাওয়ার কারণ রিয়া চক্রবর্তী এবং শিবানীর বন্ধুত্ব। সুশান্ত মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরেই শিবানীর সঙ্গে রিয়া ছুটে গিয়েছিলেন ফারহান আখতারের বাড়ি। কেন গিয়েছিলেন? তা অজানা। তবে আখতার পরিবারের সঙ্গে রিয়ার যে বেশ ভালই যোগাযোগ রয়েছে তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও।
এ বার প্রশ্ন হল, সত্যিই কি শিবানী ছিলেন সে দিন? টুইটারে এ নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলেছেন শিবানী। সমস্ত জল্পনা কল্পনাকে নস্যাৎ করে তিনি লিখেছেন, “ওই মহিলা আমি নই। এমনকি সিমোনও (রিয়ার বান্ধবী) নয়। কোনও কিছু ছড়ানোর আগে তা চেক করে নিন। ভুল খবর রটান বন্ধ করুন”।
আরও পড়ুন- রিয়া এবং মহেশ ভট্টের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন শত্রুঘ্ন সিনহা
শিবানীর কথা মতো ওই মহিলা যদি সিমোন বা তিনি নিজে না হন, তবে কে? সে কথার উত্তরও দিয়েছেন তিনি। শিবানী লিখেছেন, “ওই মহিলা সুশান্তের পিআর রাধিকা নিহালানি। রাধিকার সঙ্গে তাঁর সহকারীও ছিলেন ।” তাঁকে নিয়ে ভুয়ো খবরে রেগেও গিয়েছেন শিবানী। তাঁর বক্তব্য, “অনেক হয়েছে। আমি চুপ ছিলাম বলে আমায় নিয়ে একের পর এক মিথ্যে কথা রটিয়ে দেওয়া হবে তা তো হয় না। অবিলম্বে এ সব বন্ধ করুন।” যদিও ওই রহস্যময়ী আদপে রাধিকা কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ রাধিকা নিজে কিছু বলেননি।