‘মাসুম’ ছবির একটি দৃশ্যে নাসিরুদ্দিন এবং শেখর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
চার দশক পরে আসছে সিক্যুয়েল। ফিরছে ১৯৮৩ সালের ‘মাসুম’ উন্মাদনা। মুখ্য চরিত্রে আবারও কি দেখা যাবে নাসিরউদ্দিন শাহ এবং শাবানা আজ়মিকে? কিছুই খোলসা করতে চাইলেন না পরিচালক শেখর কপূর। শুধু এটুকু জানিয়েছেন যে, তিনিই পরিচালনা করবেন সিক্যুয়েলটি।
‘মাসুম’ নামের সেই কালজয়ী ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন গুলজ়ার। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত এরিক সেগালের ‘ম্যান উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড’ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছিল কাহিনির নির্যাস। পরিচালক হিসাবে এই ছবিতেই আত্মপ্রকাশ করেন শেখর।
‘মাসুম’-এর জাদু পৌঁছে গিয়েছিল সব প্রজন্মের দর্শকের কাছে। স্বাভাবিক ভাবেই নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে, পরের পর্ব কি আসতে পারে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথাটা বলেই ফেললেন শেখর। তাঁর কোথায়, “হ্যাঁ, সিক্যুয়েল আসছে। আমি পরিচালনা করছি। তবে বিস্তারিত বলার সময় এখনও আসেনি।”
‘মাসুম’-এর হৃদয়স্পর্শী কাহিনি এখনও মুখে মুখে ফেরে। তেমনই সাড়া ফেলা গান। ‘মাসুম’-এ নাসিরুদ্দিন এবং শাবানার সুখী দাম্পত্য বদলে যায় পরিবারে এক বালকের আগমনে। ডিকে মলহোত্র ( নাসিরউদ্দিন)-এর বিবাহ-পূর্ব সম্পর্ক থেকে তার জন্ম। রাহুল (যুগল হংসরাজ) নামের সেই বালককে বাড়িতে নিয়ে আসে ডিকে। কিন্তু তার স্ত্রী ইন্দু (শাবানা) মেনে নিতে পারে না ছেলেটিকে।
সকলের অনবদ্য পারফরম্যান্সই ছবিটিকে বিপুল জনপ্রিয়তা দেয়। কাহিনির সংবেদনশীলতা, আরডি বর্মণের সুর দর্শককে মোহিত করেছিল। ‘তুঝসে নারাজ নহি জ়িন্দেগি’-র মতো জনপ্রিয় গান এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। পরবর্তী ‘মাসুম’-এর জন্য অপেক্ষা জমেই রয়েছে সেই থেকে।
শেখরের শেষ রোম্যান্টিক কমেডি ‘হোয়াট’স লভ গট টু ডু উইথ ইট’ মুক্তি পেয়েছিল গত বছর। যদিও এ ছবি দেশের বাইরেই সাড়া ফেলেছিল বেশি। অন্য দিকে, নাসিরউদ্দিনকে শেষ দেখা গিয়েছে জ়ি ফাইভের সিরিজ় ‘তাজ’-এর দ্বিতীয় সিজ়নে।