(বাঁ দিক থেকে) সোহা আলি খান, শর্মিলা ঠাকুর, অভিজিৎ শ্রী দাস। —সংগৃহীত চিত্র।
শর্মিলা ঠাকুর-সোহা আলি খান অভিজিৎ শ্রী দাসের আগামী ছবিতে। এই খবর চর্চিত। আনন্দবাজার অনলাইন তা হলে নতুন কী জানাচ্ছে?
আগামী ছবি সম্পর্কে সবিস্তার জানতে সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল পরিচালকের সঙ্গে। পতৌডি- ঘরনি এবং নবাব-কন্যাকে নিয়ে গয়নার বিজ্ঞাপনের শুটিং সেরে শনিবার তিনি নিজের বাড়িতে, উত্তরবঙ্গে। আনন্দবাজার অনলাইনের ফোন ধরে বললেন, ‘‘খুব ইচ্ছে, বাংলা এবং হিন্দিতে ছবি বানাব। শর্মিলাজি-সোহা থাকবেন। সোহা ১৯ বছর পরে আবার বাংলা ছবিতে ফিরতে চলেছেন। উনি টলিউডে কাজ করতে আগ্রহী, জানিয়েছেন আমায়।’’
আবীর চট্টোপাধ্যায়-পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বিপরীতে কি বলিউডি নায়ক? প্রশ্ন রাখতেই চমকে দেওয়ার মতো উত্তর। পরিচালকের ভাবনায় আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
পরিচালক আরও বলেছেন, ‘‘এর আগে শর্মিলাজি-সোহাকে নিয়ে একাধিক বিজ্ঞাপনী ছবি করেছি। কিন্তু বরাবরের স্বপ্ন শর্মিলাজি আমার ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকবেন। আমার প্রথম বড় ছবি ‘বিজয়ার পরে’ ওঁকে নিয়েই করব ঠিক করেছিলাম। বিপরীতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নানা কারণে সেটি হয়নি। আমি তা-ও আশা ছাড়িনি।’’ সেই আশা নিয়েই দ্বিতীয় ছবিতে ‘নবাব-ঘরনি’র সঙ্গে ‘নবাব-নন্দিনী’ও থাকবে। পরিচালককে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন উভয়েই। ছবির গল্প পরিচালকের। চিত্রনাট্যও লিখছেন তিনিই। এ বারেও সম্পর্কের কথা থাকবে তাঁর ছবিতে। আর কারা অভিনয় করবেন? অভিজিতের মতে, নির্দিষ্ট সময়ে সব কিছু প্রকাশ্যে আসবে। ছবির শুটিং হবে কলকাতায়। তবে এই ছবির প্রযোজক বদলাতে পারেন। অর্থাৎ, ‘বিজয়ার পরে’র প্রযোজক সুজিত রাহা দ্বিতীয় ছবি প্রযোজনা না-ও করতে পারেন। যদিও সবটাই ভাবনার স্তরে রয়েছে।
দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর সুমন ঘোষের ‘পুরাতন’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শর্মিলা। তখনই প্রকাশ্যে, তিনি ক্যানসারজয়ী। শুটিং করতে গিয়ে তাঁকে কেমন দেখলেন অভিজিৎ? অভিনয় থেকে জীবনযাত্রায় মা-মেয়ের মধ্যে কি আকাশ-পাতাল পার্থক্য?
মা-মেয়ে এক ফ্রেমে। ছবি: সংগৃহীত।
অভিজিতের মতে, ‘‘৮০ ছুঁইছুঁই ক্যানসারজয়ী শর্মিলা ঠাকুর এখনও দিব্যি হাই হিল পরেন। সেই জুতো পরে গটগটিয়ে হাঁটেন। প্রয়োজনে টানা অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে শট দেন। শরীরে বার্ধক্যের লেশমাত্র নেই! একই রকম তাঁর মেয়ে সোহাও। শরীরের প্রতি ভীষণ যত্ন। তাই খুব সংযমী। শট ফুরোলেই হেঁটে বেড়াবেন। তবু চট করে বসবেন না।’’ খাওয়াদাওয়ায় অবশ্য পার্থক্য রয়েছে। মায়ের মেনুতে দুপুরে ভাত আর পাতলা মাছের ঝোল। বিকেলে মুড়ি-শসা। মেয়ের পাতে শুধুই রকমারি ফল! দু’জনেই সমানতালে শরীরচর্চা করেন। পরিচালকের অভিজ্ঞতা বলছে, নবাব পরিবারের মেয়ে হয়েও সোহা ভীষণ মাটির কাছাকাছি। শর্মিলাকে ঘিরে এখনও আভিজাত্যের অদৃশ্য বলয়। ফলে, একটার বেশি দুটো কথা বলতে অনেকেরই দ্বিধা হয়। বিজ্ঞাপনী ছবিতে শর্মিলা-সোহাকে সাজিয়েছেন সন্দীপ জয়সওয়াল। ক্যামেরায় সুপ্রতিম ভোল।