শাল্মালী খোলগাড়ে। ছবি: ফেসবুক।
বিষ্ফোরক শাল্মালী খোলগাড়ে। ‘সিঙ্গলহুড’ থেকে ফিটনেস সব বিষয়ই সবাক তিনি। তাঁর নতুন গানের ভিডিও ‘কাল্লে কাল্লে’-এর প্রমোশনের জন্য কলকাতায় ঝটতি সফরে এসে কথা বললেন শুধুমাত্র আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।
‘পারেশা’—গান গেয়ে ইতিমধ্যেই জুটেছে পুরষ্কার। নিজে কোনও দিন নিজেকে নিয়ে পারেশা হয়েছেন?
একেবারেই নয়। আমি নিজেকে নিয়ে ভীষণ ‘মাস্ত’।
ভ্যালেন্টাইন ডে— কী ভাবে কাটালেন?
দিনটি একেবারেই নিজের মতো করে কাটালাম। অ্যালার্মটা সেদিন বন্ধ করে রেখেছিলাম, ছিল না তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কোনও চিন্তা। দুপুরে আমার অন্যতম প্রিয় রেস্তরাঁ ‘ইন্ডিগো’-তে লাঞ্চ করেছি। সিনেমা দেখেছি। পিয়ানো বাজিয়েছি যতক্ষণ মন চেয়েছে। আসলে নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটানো।
আপনার নতুন গান সব ছেড়ে হঠাৎ ‘সিঙ্গলহুড’ নিয়েই কেন?
আমি মনে করি ভাল থাকার জন্য অন্য কোনও ব্যক্তি বা পুরুষের সান্নিধ্যের প্রয়োজন হয় না। নিজেকে নিয়েও ভাল থাকা যায়। আমার জীবনে খুশির চাবিকাঠিটা অন্য কারোর হাতে থাকবেই বা কেন? এই গানের মধ্যে দিয়ে আমি বলতে চাই সব সম্পর্কই যে মধুর হয় তা কিন্তু নয়। কিছু সম্পর্ক এমনও হয় যা আপনার জীবনে তিক্ততা নিয়ে আসে। সম্পর্ক এমনও হয় যেখানে আপনার অস্তিত্বটাই হারিয়ে যায়। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে ‘সিঙ্গল’ থাকাটা বোধহয় অনেক ভাল।
আরও পড়ুন: সলমনের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বর্তমানে মধুর নয়: বনি কপূর
‘‘কাল্লে কাল্লে’ গানের জন্য এই ‘ক্যালরি বার্নিং অ্যাডভেঞ্চার’ আমি দারুণ উপভোগ করেছি।’
আপনার ‘কাল্লে কাল্লে’-এর ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল। গানের পাশাপাশি আপনার ডান্স নাম্বার ও নজরকাড়া ফিটনেস নেটাগরিকদের মুগ্ধ করেছে...
আমি নাচ করতে ভীষণ ভালবাসি! সাত বছর কত্থক শিখেছি। তারপর হিপহপ নাচের প্রেমে পরেছি। যে সব ধারার গান আমি গাই আর পারফর্ম করি তার সঙ্গে হিপহপ স্টাইলটা বেশ ভাল যায়। তাই অনেকগুলো বছর হল কত্থক ছেড়ে হিপহপে মন দিয়েছি। এই ভিডিওতে আমি সিজার স্যরের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আপ্লুত! তাঁর প্রশিক্ষণে কাজ করাটা আমাকে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিশ্রম করার শক্তি জুগিয়েছে। আমি সব সময় চেয়েছি ‘পপ স্টার’-এর মতো করে জীবন কাটাতে। তাদের মতো আমিও ফিটনেসকেই জীবনের মূল মন্ত্র বানাতে চাই। ‘কাল্লে কাল্লে’ গানটির জন্য আমায় জিমে অনেকখানি সময় কাটাতে হয়েছে। স্বপনীল হাজারে এবং যতিশ তিওয়ারি দুজনেই দুর্দান্ত ট্রেনার। এই গানের লুক-টা আমি কখনই তাদের ছাড়া অর্জন করতে পারতাম না। সব মিলিয়ে ‘কাল্লে কাল্লে’ গানের জন্য এই ‘ক্যালরি বার্নিং অ্যাডভেঞ্চার’ আমি দারুণ উপভোগ করেছি।
আরও পড়ুন: সাত ভাই চম্পা-র রাঘবেন্দ্র ও পারুলের প্রেম প্রকাশ্যে!
আজকাল মহিলা শিল্পীদের নানান ‘সেক্সসিস্ট’ কমেন্টের সন্মুখীন হয়। সেই সব কমেন্ট কি আদও আপনাকে ভাবায়?
সৌভাগ্যবশত আমার লুক নিয়ে কোনও ‘সেক্সসিস্ট’ কমেন্ট পায়নি। তার বদলে অনেকেই আমায় বলেন, কেন তুমি এত রোগা হয়ে যাচ্ছ? তুমি যেমনটা আছ তেমনটাই থাকো আর রোগা হওয়ার কোনও দরকার নেই। তাঁরা হয়েতো ভাবেন আমাকে বাধ্য হয়ে রোগা হতে হচ্ছে। এমনটা কিন্তু একেবারেই না! আমি ফিটনেস পাগল। তাই সবটাই আমার ইচ্ছে। আমি মানষিক ভাবে ভীষণ স্ট্রং। আমার লুক নিয়ে কে কী বলল তাতে আমার কিচ্ছু এসে যায় না। আমি যেমন চাইব তেমনটাই থাকব। তবে এ কথা ঠিক লোকে আমার গান শোনার পাশাপাশি স্ক্রিনে আমাকে দেখবেনও। তাই নিজেকে ‘প্রেজেন্টেবল’ রাখতে হবে সব সময়।
আপনার কি মনে হয় ভারতীয়রা পাশ্চাত্য মিউজিক আর পাশ্চাত্যের শিল্পীদের নিয়ে এখন বেশি উৎসাহিত?
যারা ‘কোল্ডপ্লে’ আর জাস্টিন বিবারের গান শোনেন তাঁরা মন প্রাণ দিয়ে চান তাঁদের প্রিয় শিল্পীরা যেন ভারতে আসেন। তারা চাক্ষুস উপলব্ধি করতে চান তাদের প্রিয় তারকার কনসার্ট! হোক না সেই লাইভ কনসার্টের টিকিট মূল্য আকাশছোঁয়া। থিয়েটারে তিনটে সিনেমা দেখার চেয়ে সেই সব কনসার্টকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেবে আজকের যুবসমাজ। আমিও তেমনটাই মনে করি।