শাকিব-পাওলি জুটি আর টানটান কাহিনির জন্য দর্শকের মনে ধরেছে এই ছবি।
প্রথম কমার্শিয়াল ছবিতেই বাজার দখল করল পাওলি দামের ‘সত্তা’।
পাওলি বাংলাদেশের দর্শকের কাছে কেমন সাড়া ফেলবেন তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। শাকিব-পাওলি জুটির ‘সত্তা’র গল্পটাও ছিল একটু ভিন্ন ধাঁচের। মাদকাসক্ত ধনীর বখে যাওয়া ছেলে আর সীমান্তের পাশের গ্রাম থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে ডাক্তারকে ছুরি মেরে পালিয়ে আসা মেয়েরপ্রেম আর লড়াইয়ের কাহিনি। আর সে কাহিনি দর্শক টেনেছে। শঙ্কা কাটিয়ে ‘সত্তা’ দর্শকের মন জয় করেছে।
পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল এখন তৈরি হচ্ছেন নয়া সিনেমার জন্য। এই নয়া ছবির গল্প লিখেছেন সোহানী হোসেন। নয়া ছবির নাম— ‘সুন্দরী’। তবে সিনেমার নাম নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি পরিচালক। নতুন সিনেমাটিও যৌথ প্রয়োজনার, থাকছে মুম্বইয়ের কয়েক জন তারকাও। আনন্দবাজারে কাছে এমনটাই জানালেন কল্লোল।
টানা ৭ সপ্তাহ ধরে ‘সত্তা’ চলছে বাংলাদেশের দু’শোটি সিনেমা হলে। বেশির ভাগ হলেই দর্শকের ভিড়। শাকিব-পাওলি জুটি আর টানটান কাহিনির জন্য দর্শকের মনে ধরেছে এই ছবি। দর্শকের এই সাড়াতে পরিচালক নিজেও সন্তুষ্ট। তবে তার অসন্তষ্টি একটি চক্রের বিরুদ্ধে— যাঁরা বিভিন্ন সিনিমা হলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন।
সত্তার নির্মাণ প্রসঙ্গে পাওলি ও সাকিবের প্রশংসা করে কল্লোল বলেছেন, “পাওলি-শাকিব তাঁদের সেরা কাজটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমি পরিচালক হিসাবে পাওলি ও শাকিব খানের যে সহযোগিতা পেয়েছি সেটিই ছিল ‘সত্তা’র মূল কথা। অন্য দিকে, আমাদের দর্শকেরা শাকিব-পাওলি জুটিকে গ্রহণ করেছে। আমি বহু দর্শকেরা ফোন এবং এসএমএস পেয়েছি। আপনারা দেখেছেন, ছবিটি হলে চলার পরও সোস্যাল মিডিয়াতে কি পরিমাণ ঝড় তুলেছিল? ছবির প্রিমিয়ার শো-এর দিনে বহু দর্শক টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হতেও দেখেছেন।”
হাসিবুর রেজা কল্লোলের যাত্রা শুরু হয়েছিল লালনের আখড়া নিয়ে ‘অন্ধ নিরংগম’ ছবিটি দিয়ে। দ্বিতীয় ছবি ‘স্বত্তা’র বাণিজ্যিক সাফল্য নিয়েই তিনি হাত দিচ্ছেন তৃতীয় সিনেমাতে। সোহানী হোসেনের গল্পটির নাম যেহেতু ‘সুন্দরী’। ছবির নাম সেটাই থাকবে কি না তা নিয়ে কল্লোল বললেন, “নামটা কিছু দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন। দু’সপ্তাহের মধ্যে মুম্বই যাচ্ছি। ফিরে আপনাদের শুধু সিনেমার নামই নয়। নায়ক-নায়িকার নামও জানিয়ে দেব।”
কল্লোল আরও জানালেন, এই নতুন সিনেমার এডিটিংও চূড়ান্ত হবে ভারতে।
আনন্দবাজারকে কল্লোল জানালেন, তাঁর নতুন ছবির চিত্রনাট্যের কাজ প্রায় শেষ। মুখ্য চরিত্রের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গেও কথা পাকা। লোকেশন বাংলাদেশের ঢাকা-সহ কয়েকটি জেলা। এর সঙ্গে মুম্বই-সহ ভারতের কয়েকটি লোকেশনেও শুটিং হবে। সোহানী হোসেনের ‘সুন্দরী’ গল্পের ছায়ায় এ বারেও চিত্রনাট্য লিখছেন ফেরদৌস হাসান। ‘সত্তা’র গল্প ও চিত্রনাট্যও ছিল ওই দু’জনেরই।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে প্রচুর বিতর্কের পরেও যৌথ প্রযোজনায় হাত দিয়েছেন কেন? প্রশ্নের উত্তরে কল্লোল বললেন, “ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা তো আজ শুরু হয়নি। ভারতের সিনেমা টেকনোলজিতে অনেক উন্নত। সেখান থেকে আমাদের অনেক নেওয়ার রয়েছে। সেই প্রত্যাশা থেকেই আমি যৌথ সিনেমার প্রতি আগ্রহী। গত ৪৪ বছর ধরে চলছে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা। আজ একটি বা দু’টি সিনেমার নিয়ম মানা না মানার কারণে নিশ্চয় ৪৪ বছরের ধারাবাহিকায় খুব বড় কোন সঙ্কটের বিষয় রয়েছে বলে আমি মনে করি না।”