পুরনো ফ্রেম। সাহেব-সোনিকা। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
সবচেয়ে কাছের মানুষটাই আর নেই। আর কয়েক দিন পরেই তার এক বছর পূর্ণ হবে। পথ দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে সোনিকা চৌহানের প্রাণ।
কিন্তু, সোনিকার মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই সাহেব ভট্টাচার্যের কাছে এমন এক কাজের সুযোগ এল, যাতে তাঁর মনে হচ্ছে, ‘‘এটা ঐশ্বরিক যোগ ছাড়া আর কিছুই নয়! সোনিকা চেয়েছিল, আর আমি পেলাম।’’
ঘটনাটি ঠিক কী? কোন কাজের সুযোগ পেলেন সাহেব?
আরও পড়ুন, ‘পরিচালকের সঙ্গে নয়, সংসারটা একদম অন্য মানুষের সঙ্গে’
চলতি বছরে আইপিএল-এ উপস্থাপকের ভূমিকায় দেখা যাবে সাহেবকে। বাংলাতে উপস্থাপনা করবেন তিনি। গত ২২ মার্চ গোটাটাই চূড়ান্ত হয়েছে। এই দিনটা সাহেবের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেন? দু’বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬-র ২২ মার্চ। সাহেবের মায়ের কাঁধে অস্ত্রোপচার ছিল। সেই জন্য মুম্বইতে ছিলেন সাহেব-সোনিকা। ২০১৮-র ২২ মার্চ। সেই মুম্বইতেই ছিলেন সাহেব। এ বারও মায়ের কাঁধের অস্ত্রোপচার। তবে, সোনিকা আর সঙ্গে নেই। সে বার যে হোটেলে ছিলেন, যে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন যুগলে— এ বছরও সব জায়গাতেই গিয়েছেন। একাই। আর সেই সময়েই অডিশন দেন আইপিএল-এর জন্য। ওই দিনেই। আর এক বারেই সুযোগ আসে।
আরও পড়ুন, মৃত্যুর তিন বছর পর মুক্তি পেল এই টলিউড অভিনেত্রীর শেষ ছবি
সোনিকার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল, আইপিএল-এর উপস্থাপক হবেন। তিনি একটি অন্য টিভি চ্যানেলে কাজ করতেন বলে ওই বছর আইপিএল-এর উপস্থাপক হিসাবে অডিশন দিতে পারেননি। এ বার সেই উপস্থাপকের কাজটাই পেয়েছেন সাহেব। তাঁর কথায়, ‘‘বড় একটা সুযোগ। কাজটা পেয়ে আমার খুব ভাল লাগছে। অনেক আন্তর্জাতিক তারকাকে কাছ থেকে দেখতে পাব। মুম্বইয়ে গোটাটার শুটিং হলেও মাঠে-ময়দানেও তো যেতে হবে।’’ তিনি নাকি ভাবতেই পারেননি, এমন একটা কাজের সুযোগ পাবেন। বললেন, ‘‘সোনিকার স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল আইপিএল। ওর স্বপ্ন নিয়েই বাঁচছি কোথাও। সুযোগটা পাওয়ার পর মনে হচ্ছে, কোনও ঐশ্বরিক যোগাযোগের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ওর শুভকামনা ছাড়া এই কাজটা আমার পাওয়ার কথা নয় যে! সোনিকাকে কোথাও যেন স্পর্শ করতে পারছি।’’