সানি লিওন। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
ফের আক্রমণের মুখে পড়লেন সানি লিওন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘করণজিৎ কউর:দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন’-এর ট্রেলার। সানির এই বায়োপিক নিয়ে আগ্রহ রয়েছে দর্শক মহলে। আগামী ১৬ জুলাই থেকে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে এই সিরিজ দেখানোরও কথা রয়েছে। কিন্তু ওয়েব সিরিজের নামে ‘কউর’ শব্দটির ব্যবহার নিয়ে আপত্তি তুলেছে ‘দ্য শিরোমণি গুরদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি)।
এসজিপিসি’র মুখপাত্র দিলজিৎ সিংহ বেদী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সানি লিওন শিখ গুরুদের কাছ থেকে কোনও শিক্ষা নেননি। তাঁদের মতাদর্শে চলেননি। ফলে তাঁর বায়োপিকের নামের সঙ্গে ‘কউর’ ব্যবহার করার কোনও অধিকার তাঁর নেই।
সানি লিওনের আসল নাম করণজিৎ কউর ভোরা। কানাডাবাসী মধ্যবিত্ত এক শিখ পরিবারে জন্মেছেন তিনি। ফলে প্রথমে করণজিৎ কউর নাম ব্যবহার করলেও পরে পেশার তাগিদে নিজের নাম পাল্টে নেন। এখন ফের নিজের বায়োপিকে পুরনো, নতুন দু’টো নামই ব্যবহার করতে চান সানি।
আরও পড়ুন, ‘অনস্ক্রিন চুমু খেতে পারলে অফস্ক্রিনে পারবে না কেন?’
‘কউর’ শব্দটি নামের সঙ্গে কখন ব্যবহার করেন শিখ মহিলারা? দিলজিতের কথায়, ‘‘কউর খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি নাম। শিখ গুরুরা শিখ মহিলাদের এই নাম দেন। কিন্তু যিনি শিখ মতাদর্শ মানেন না, তাঁর এই নাম ব্যবহারের কোনও অধিকার নেই। এতে শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগবে।’’
দিলজিতের সুরেই সুর মিলিয়েছেন ‘ইস্ত্রি অকালি দল’-এর প্রেসিডেন্ট বিবি জাগির কউর। তিনি দিলজিতের থেকে একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘‘সানি নিজের বায়োপিকের সাফল্যের জন্য কউর ব্যবহার করতে চাইছেন। কিন্তু এতে যে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে তা খেয়াল নেই।’’
আরও পড়ুন, বুম্বা মামার মেকআপ ভ্যান চালাতাম, বলছেন অমর্ত্য
বলি মহলের প্রায় সকলেই এখন সানিকে একডাকে চেনেন। অভিনয় করছেন। করছেন সঞ্চালনা। তিন সন্তানের মা হয়েছেন। এক সময় পর্ন তারকার পেশা ছেড়ে বলিউডে নিজের পায়ের তলায় জমি শক্ত করেছেন একটু একটু করে। সানির এই জার্নির গল্পই দেখানো হবে বায়োপিকে। একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ থেকে কেন তিনি পর্নোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন? কানাডাবাসী মধ্যবিত্ত এক শিখ পরিবারের মেয়ে কী ভাবে অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা তৈরি করেছিলেন? কী ভাবে তা থেকে বেরিয়ে বলিউড মেনস্ট্রিমে জায়গা করে নিলেন? এ সব নিয়ে সাধারণ দর্শকের কৌতূহল মেটাবে ‘করণজিৎ কউর:দ্যআনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন’ ওয়েব সিরিজ। এমনটাই দাবি করেছিলেন কর্তৃপক্ষ।