পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বলি অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় সীমা বিশ্বাস। প্রথম খবর প্রকাশিত আনন্দবাজার ডট কমে। নেপথ্য কারণ, বাংলা ছবিতে তাঁর অভিনয়। “সীমাদির সঙ্গে বহু বছর পরে আবার কাজ করছি। ‘লজ্জা’ নামের একটি ছবিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। উনি আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সীমাদির সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি আমি। আমাদের পুজোর ছবিতে ওঁকে যে চরিত্রের জন্য ভাবা হয়েছে সেটি অসম্ভব চ্যালেঞ্জিং”, প্রথম আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
আনন্দবাজার ডট কমকে সীমা বললেন, “৩২ বছর পরে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আজ কলকাতায় এসে শিবুর সঙ্গে কথা বলে আরও ভাল লাগছে। বুঝতে পারলাম পরিচালনা ও প্রযোজনার দিক থেকে ও কতটা গভীরতায় গিয়েছে।” আসন্ন ছবির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন অভিনেত্রী। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বললেন, “আমি কিন্তু যাকে বলে পরিচালকের অভিনেতা। শিবু যে ভাবে বলবে সে ভাবে চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলব।”
পরিচালক যখন আসামে কাজ করছিলেন, তখন সীমা অনেক সহায়তা করেছেন। পরিচালক তথা অভিনেতার কথায়, “ওঁর সঙ্গে আমার আজকের সম্পর্ক নয়। মুম্বইয়ে যখন কাজ করেছি, গোকুলধামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছি। উনি নিজে হাতে রান্না করে খাইয়েছেন। অসাধারণ এক অভিনেত্রী। নিজেকে সম্পূর্ণ ভাঙতে পারেন।” এ বার ‘রক্তবীজ ২’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে সীমা বিশ্বাস। ‘বহুরূপী’ ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, শিবপ্রসাদকে ফোন করে এ কথা জানিয়েছিলেন সীমা। সেখান থেকেই ফের নতুন করে একসঙ্গে কাজ করার উভয়ের ইচ্ছেপ্রকাশ এবং সেই কারণেই কলকাতায় তিনি।
হিন্দি ছবি ও থিয়েটার জগতে সীমার বিশেষ অবদান রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেখর কপূরের ‘ব্যান্ডিট কুইন’ ছবিতে ফুলন দেবীর চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এই ছবির জন্য একাধিক পুরস্কারও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এ বছর পুজোয় বাংলা ছবিতে তাঁর উপস্থিতি বাঙালি দর্শকের বিশেষ নজর কাড়বে বলে অনুমান পরিচালকের।