সেফ ও রানি।
প্রায় ১১ বছর পরে ‘বান্টি অওর বাবলি টু’তে একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন রানি মুখোপাধ্যায় এবং সেফ আলি খান। কিন্তু প্রথমে নাকি সেফ এই ছবিটি করতে রাজি হননি। প্রাথমিক ভাবে নিজের আপত্তি জানিয়েও দিয়েছিলেন প্রযোজনা সংস্থাকে। কিন্তু স্ত্রী করিনা কপূরের পরামর্শেই শেষমেশ রাজি হন সেফ।
প্রথম ‘বান্টি অওর বাবলি’তে রানির সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বচ্চন। স্বাভাবিক ভাবে সিকুয়েলেও অভিষেককে ভাবা হয়েছিল। অভিনেতা নাকি রাজিও ছিলেন। সমস্যা হয় ডেটের। সুজয় ঘোষের তত্ত্বাবধানে ‘কহানি’র স্পিনঅফ মুভি ‘বব বিশ্বাস’-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিষেক। প্রশ্ন ছিল, রানি আর অভিষেক একসঙ্গে ছবি করবেন কি না, তা নিয়েও। অন্দরের খবর, অভিষেকের আপত্তি ছিল না। এ দিকে তিনি ছবিটি ‘না’ করায় রানি বলেছেন, ‘‘আমরা অভিষেককে মিস করব।’’
পাশাপাশি রানি প্রশংসা করেছেন সেফের। তাঁরা দু’জনে ‘হাম তুম’, ‘তা রা রম পম’, ‘থোড়া পেয়ার থোড়া ম্যাজিক’ ছবিতে একসঙ্গে করেছেন। কিন্তু ‘বান্টি অওর বাবলি টু’তে কাজ করা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন সেফ। ‘লাল কপ্তান’ ছবিটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অভিনেতা। কিন্তু ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। আর এ দিকে সেফের থেকে সাড়া না পেয়ে যশ রাজ ফিল্মস মাধবনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। সে খবর করিনার কানে পৌঁছতেই তিনি আসরে নামেন। করিনা নাকি সরাসরি ফোন করেন রানিকে। আর সেফকেও রাজি করান ছবিটি করতে। সেফ পরপর ডার্ক ছবিতে অভিনয় করছেন। সে দিক থেকে এই কমেডি-ড্রামা তাঁকে রিলিফ দেবে। আর যশ রাজের মতো সংস্থাকে ‘না’ করা মানে আখেরে ক্ষতি। সুতরাং বেগমের পরামর্শ মেনে সেফ ছবিটি করতে রাজি হয়ে যান। সেফ-রানি ছাড়াও সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং নবাগতা শর্বরীকে দেখা যাবে এই ছবিতে।