Globe Cinema

‘খুলবে ইলোরা, চিত্রা, নটরাজ প্রেক্ষাগৃহও’, গ্লোব ফিরিয়ে দিয়ে ঘোষণা করলেন পরিবেশক শতদীপ

পুজোর আগে একটা সিনেমা হল খুলতে পারলে আখেরে লাভ বাংলা বিনোদন দুনিয়ার। কারণ, বেশি সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ মানেই ছবি বেশি দেখানো যাবে, দাবি শতদীপের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১৭
Share:

গ্লোব উদ্বোধনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দেব, শতদীপ সাহা। ছবি: সংগৃহীত।

বাঙালি যেমন সিনেমা ভালবাসে, তেমনই অতীত রোমন্থন করতেও। রবিবার পরিবেশক শতদীপ সাহা দায়িত্ব নিয়ে সেই অনুভবকেই উস্কে দিলেন। পুজোর ঠিক আগে বাঙালিকে তাঁর উপহার, নব কলেবরে গ্লোব প্রেক্ষাগৃহ ফিরিয়ে দেওয়া। এক সময়ে যে সিনেমা হলে শুধুই বিদেশি ছবি চলত, সেই প্রেক্ষাগৃহের পুনর্জন্ম বাংলা ছবি দিয়ে। তালিকায় তিনটি পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’, ‘টেক্কা’, ‘শাস্ত্রী’। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে এ কথা আগাম জানিয়েছিলেন শতদীপ। রবিবার পরিবেশকের আরও ঘোষণা, আগামীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইলোরা, চিত্রা, নটরাজ প্রেক্ষাগৃহও খুলবে। সে ক্ষেত্রেও সৌজন্যে শতদীপ।

Advertisement

‘টেক্কা’র টিকিট বিক্রিতে ব্যস্ত সৃজিত, দেব। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার সকাল থেকে গ্লোবের সামনে সাজ সাজ রব। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দেব উপস্থিত ছবির কাউন্টারে। প্রথমে ফিতে কেটে প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন। তার পর ‘টেক্কা’র পরিচালক-প্রযোজকের ছবির টিকিট বিক্রির ব্যস্ততা। এরই ফাঁকে শতদীপের বাবা পরিবেশক রতন সাহা বলেন, “এই একটি নয়, আগামীতে ১০০টি প্রেক্ষাগৃহ খুলতে চাই। সেই তালিকায় আমার বাবার খোলা ইলোরা প্রেক্ষাগৃহটিও রয়েছে। নানা কারণে দীর্ঘ দিন প্রেক্ষাগৃহটি বন্ধ।” উত্তর কলকাতাতেও বন্ধ একাধিক প্রেক্ষাগৃহ। তালিকায় মিত্রা, দর্পণা, রূপবাণী, রাধা। সে প্রসঙ্গ তুলতেই শতদীপ বললেন, “রাধা ছাড়া বাকি তিনটি প্রেক্ষাগৃহ ভেঙে শপিং মল তৈরি হয়েছে। ওগুলো তাই কিছু করা যাবে না।” আরও জানিয়েছেন, রাধা প্রেক্ষাগৃহের একতলা অর্থাৎ, ‘রেয়ার স্টল’ নামে পরিচিত অংশটিতে শপিং মল হলেও প্রেক্ষাগৃহের বারান্দা ভেঙে ফেলা হয়নি। কিন্তু, প্রবেশদ্বার না থাকায় চাইলেও তিনি সিনেমা হলটির পুনর্নিমাণ করতে পারবেন না।

পাশাপাশি, একাধিক নতুন সিনেমা হল খোলার ভাবনাও রয়েছে তাঁর। যেমন, দীপাবলিতে উদ্বোধন হতে পারে আমতলা এসএসআর-এর। শতদীপের কথায়, “অজন্তা, অশোকা-র পর অনেকটা অঞ্চল জুড়ে কোনও প্রেক্ষাগৃহ নেই। ছবি দেখতে দর্শকদের ডায়মন্ড হারবারের প্রেক্ষাগৃহে যেতে হয়। আশা, আমতলায় প্রেক্ষাগৃহ খুললে সেখানে দর্শকেরা ভিড় জমাবেন। এতে বাংলা ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য বাড়বে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেই হবে না। তাকে কাজে করে দেখাতে হবে। সেই অনুভূতি থেকেই পুজোর আগে গ্লোব খুললাম। দীপাবলিতে আরও একটি প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধন।”

Advertisement

(বাঁ দিক) থেকে সস্ত্রীক রতন সাহা, শতদীপ সাহা, দেব, সৃজিত। ছবি সংগৃহীত।

সাংসদ দেব সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন? অজন্তা প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার জানিয়েছেন, সাংসদ-প্রযোজক সিনেমা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement