ফের বড় পর্দায় দত্তা

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে এ বার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবির খবর দিচ্ছে আনন্দ প্লাস১৯৭৬ সালে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে অজয় কর ‘দত্তা’ করেছিলেন। সেখানে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শমিত ভঞ্জ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০৫
Share:

ছবিতে ঋতুপর্ণার লুক

ঠিক ১০০ বছর আগে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘দত্তা’ লিখেছিলেন। লেখকের সেই সৃষ্টির উদ্‌যাপনেই উপন্যাসটি নিয়ে ফের সিনেমা তৈরি হচ্ছে। এ বার মুখ্য ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

Advertisement

১৯৭৬ সালে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে অজয় কর ‘দত্তা’ করেছিলেন। সেখানে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শমিত ভঞ্জ। এ বার পরিচালকের আসনে নির্মল চক্রবর্তী। এটা তাঁর ডেবিউ ছবি। অভিনেত্রীর সঙ্গে ২০-২২ বছরের যোগাযোগ তাঁর। বছর দুয়েক ধরেই ‘দত্তা’ তৈরির পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

ঋতুপর্ণা ছাড়াও রয়েছেন জয় সেনগুপ্ত এবং ফিরদৌস। ঋতুপর্ণা বিজয়ার চরিত্রে। জয় করছেন নরেনের চরিত্রটি, ফিরদৌস রয়েছেন বিলাসের ভূমিকায়। রাসবিহারীর চরিত্রে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। বলা বাহুল্য এটি পিরিয়ড ছবি। পরিচালক জানালেন, মূল কাহিনি একই রাখা হচ্ছে।

Advertisement

বাংলা সাহিত্যকে আধার করে টলিউডে কম ছবি হয়নি। কিন্তু ‘দত্তা’ করার পিছনে কারণ কী? ‘‘নির্মলদা চাইছিলেন সাহিত্যধর্মী কিছু করতে। ‘দত্তা’র ১০০ বছরও হল। ওই সময়ের প্রেক্ষিতে বলিষ্ঠ, প্রতিবাদী নারীচরিত্র বেশ চমকপ্রদ। আমি যে ধরনের চরিত্র করতে পছন্দ করি, ‘দত্তা’ ঠিক তেমনই। তা ছাড়া ওই চরিত্রটি এক সময়ে সুচিত্রা সেন করেছিলেন,’’ সিঙ্গাপুর থেকে ফোনে বললেন ঋতুপর্ণা।

সুচিত্রা সেন অভিনীত চরিত্র করা মানে সরাসরি তুলনার জায়গা চলে আসে। এ বিষয়ে কী বলছেন অভিনেত্রী? ‘‘তুলনা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ওঁর ছবিটা অনেক দিন আগে হয়েছিল। তখন ওঁর অনেক বয়সও হয়ে গিয়েছিল। একই বিষয়ে একাধিক ছবি এর আগেও হয়েছে। কে কেমন বানাচ্ছেন, সবটা তার উপরে নির্ভর করছে। দেখা যাক, আমরা নতুন কী যোগ করতে পারি ছবিতে,’’ বক্তব্য ঋতুপর্ণার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement