Sanjay Leela Bhansali

সলমন-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদের পরে অভিনেত্রীর সঙ্গে কেন সম্পর্ক ভাঙে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভন্সালীর?

“ঐশ্বর্যার মনে হয়েছিল আমি ওঁর যথেষ্ট ভাল বন্ধু নই। ওঁকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মতোও বন্ধু নই আমি,” অভিমানের সুর পরিচালকের কণ্ঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ১৫:২৩
Share:
Sanjay Leela Bhansali reveals he prioritized Salman Khans friendship than Aishwarya Rai Bachchan amidst their break up

(বাঁ দিক থেকে) সলমন খান, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। ছবি: সংগৃহীত।

সলমন-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সেটে শুটিংয়ের পাশাপাশি চুটিয়ে প্রেমালাপ চালাতেন এই জুটি। দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী।

Advertisement

২০০১ সালে সলমন-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদের পরে আতান্তরে পড়েন তাঁদের পরিচালক-বন্ধু। কার পক্ষ নেবেন, কার সঙ্গে বন্ধুত্ব জারি রাখবেন, তা নিয়ে উভয়সঙ্কটে পড়েন তিনি। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এই জুটির সঙ্গে যাঁদের বন্ধুত্ব ছিল, বিচ্ছেদের পরে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবেন তা নিয়ে সবাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। যদিও অধিকাংশই বন্ধু সলমনের পক্ষ বেছে নেন। বাদ যাননি সঞ্জয় লীলা ভন্সালীও। ঐশ্বর্যা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এর ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।

এখানেই ঐশ্বর্যা-ভন্সালীর ভুল বোঝাবুঝির শেষ নয়। সংবাদমাধ্যমে একটি খবরের শিরোনাম যেন আগুনে ঘি দিয়ে দেয়! সঞ্জয়ের কথায়, সেই শিরোনামে ছিল ‘বাজিরাও মস্তানি’ থেকে সরে দাঁড়ালেন ঐশ্বর্যা। সেই সময়, সলমন ও ঐশ্বর্যাকে নিয়ে ছবি করার প্রাথমিক ভাবনাচিন্তা করছিলেন পরিচালক। তার মধ্যেই ঐশ্বর্যা এই সিদ্ধান্ত সরাসরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ভন্সালীর সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেননি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে ভন্সালী বলেছেন, “‘মস্তানি’ চরিত্রে ঐশ্বর্যা অভিনয় করবে না শুনে আমি খুব আঘাত পেয়েছিলাম। আমার কাছে ঐশ্বর্যাই পুরো কাজের মূল কেন্দ্র ছিল। আমি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম, কারণ সলমনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঐশ্বর্যার পাশেও দাঁড়াতে চেয়েছিলাম আমি।”

প্রায় দেড় বছর মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল ঐশ্বর্যা-ভন্সালীর। পরিচালক বললেন, “ঐশ্বর্যার মনে হয়েছিল আমি ওর যথেষ্ট ভাল বন্ধু নই। ও তখন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওর মনে হয়, ওকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মতোও বন্ধু নই আমি। তবে আমি সব সময় চেয়েছিলাম ঐশ্বর্যা হাসপাতাল থেকে দ্রুত বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিক।” ভন্সালী মনে করেন, বন্ধুত্বে আঘাত পেলে বন্ধুর কাছে তা প্রকাশ করে দেওয়া উচিত।

অন্য দিকে, ঐশ্বর্যা একদা দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাও ভন্সালী তাঁকে দেখতে যাননি। হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস গুরুতর অসুস্থ থাকার সময় পরিচালক বন্ধুর অনুপস্থিতি গভীর আঘাত দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। পরবর্তীকালে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement