সঞ্জয় দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
অজয় দেবগন অভিনীত ‘সন অফ সর্দার ২’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে ভাবা হয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে। সেই অনুযায়ী শুটিংয়ের জন্য ব্রিটেনে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল অভিনেতার। তবে ভিসা বাতিল হওয়ায় স্কটল্যান্ডে শুটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি তিনি। ১৯৯৩ সালে টাডা আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয়কে ভিসা দিতে নারাজ ব্রিটেনের সরকার। ঘটনার পরে ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে সঞ্জয়ের পরিবর্তে রবি কিষণকে ভাবা হয়েছে নির্মাতাদের তরফে। এ বার পুরো বিষয়টির সমালোচনা করলেন সঞ্জয়।
প্রাথমিক ভাবে ভিসা পেয়েছিলেন অভিনেতা। ব্রিটেনে সমস্ত টাকাপয়সার লেনদেনও সেরে ফেলেছিলেন। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছিল। হঠাৎ ছন্দপতন! এই প্রসঙ্গে সঞ্জয়ের বক্তব্য, “সব কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তার পর এক মাস পরে আমার ভিসা বাতিল করে দিল! ব্রিটেনের সরকারের কাছে আমি সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তা হলে প্রাথমিক ভাবে আমাকে ভিসা দিল কেন? সে ক্ষেত্রে আমাকে ভিসা দেওয়া উচিত হয়নি ওদের! আইন বুঝতে ওদের এক মাস সময় লেগে গেল!”
“এমনিতেও কে ব্রিটেনে যেতে চায়! অনেক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে সেখানে। এমনকি ভারত সরকারও ব্রিটেনে না যাওয়ার বিবৃতি জারি করেছে। ফলে আমার কিছুই হাতছাড়া হচ্ছে না।” অভিনেতা আরও যোগ করলেন, “তবে হ্যাঁ, ওরা ভুল করেছে। ওদের সংশোধন করা উচিত।” সঞ্জয় নিজেকে একজন আইন মান্যকারী অভিনেতা হিসাবেই তুলে ধরলেন। জানালেন, তিনি সমস্ত আইন মেনে চলেন এবং প্রতিটি দেশের আইন ব্যবস্থাকে সম্মান করেন।