দর্শকদের সঙ্গে সঞ্জনা। নিজস্ব চিত্র
ছোট বয়সে মা’র সঙ্গে রাস্তায় বেরোলেই পরিচিতরা আদর করে তাঁর গাল টিপে দিতেন। বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকার সঙ্গে তাঁর মুখের মিল রয়েছে, এমন কথা যে কতবার শুনতে হয়েছে ইসলামপুরের সঞ্জনা খানকে, তার ইয়ত্তা নেই। রুপোলি পর্দায় নামার ইচ্ছেটা তখন থেকেই তাঁর মনে গেঁথে গিয়েছিল। সেই স্বপ্ন সদ্য পূরণ হয়েছে তাঁর। সম্প্রতি রিলিজ হওয়া একটি বাংলা সিনেমায় অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জনা। সম্প্রতি পাড়ার প্রেক্ষাগৃহে বসে আর সকলের সঙ্গে সেই সিনেমাই দেখলেন। তাঁকে ঘিরে দর্শকদের উৎসাহ ছিল বাঁধভাঙা।
দর্শকদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া সঞ্জনা শৈশবের দিনগুলো ফিরে পেয়ে বললেন, ‘‘একটা সময় মা-বাবার হাত ধরে বাদামের প্যাকেট নিয়ে এই সিনেমা হলে কত সিনেমা দেখতে এসেছি। সিনেমায় নামার ইচ্ছে তখন থেকেই ছিল। তবে কোনওদিনও ভাবিনি আমার অভিনীত সিনেমা একদিন চলবে এই হলেই। আজকের এই অনুভূতি অতুলনীয়।’’ ডোমকল মহকুমার ইসলামপুর বাজার এলাকায় সঞ্জনাদের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। সেখানেই তাঁর শৈশব কেটেছিল। তারপর বাবার পেশার জন্য তাঁকে রানিনগর থানার শেখপাড়ায় চলে যেতে হয়। কাতলামারি হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর সাঁইথিয়ার বিদ্যাসাগর কলেজে ইংরেজিতে সাম্মানিক পাশ করেন। তারপর সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দেন কলকাতায়। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েই টালিগঞ্জে পা রাখা তাঁর। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি— ‘লাভ, হেট ধোকা’ মূলত সাইকো থ্রিলার। এই ছবিতে বিত্তশালী পরিবারের এক মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্জনা। সেই চরিত্রের নাম মেঘনা। মেয়ের সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন সঞ্জনার মা পাপিয়া খান। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের জেদ আর ওর বাবার ইচ্ছে, এর জন্যই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আমাদের। ওকে ঘিরে এত মানুষের ভালবাসা যেন বিফলে না যায়।’’