সন্দীপ্তা সেন।
তৃপ্তির হাসি চুঁইয়ে পড়ছে মুখে-চোখে-ঠোঁটে। কেন এত হাসি তাঁর মুখে?
সুকুমার রায়ের ছন্দে বলতেই পারতেন, ‘পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই’! তেমন কিছুই না বলায় বছরশেষে তাঁর হাসি নিয়ে বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন! সেই প্রশ্ন খোদ সন্দীপ্তা সেন তুলে দিয়েছেন। ছুঁড়ে দিয়েছেন নেটাগরিকদের দিকে, ‘আমার হাসির পিছনে গপ্পো লুকিয়ে! মাথা খুঁড়লেও কেউ বুঝতে পারবেন না। জানতে পারবেন না।’
কী রহস্য লুকিয়ে অভিনেত্রীর হাসির পিছনে? নিজের পেজে ছবি শেয়ার করতেই নানা জল্পনা। বেশির ভাগের মতে, সদ্য পুরুলিয়া থেকে বেড়িয়ে ফিরেছেন সন্দীপ্তা। মা-বাবা-রাহুলের সঙ্গে ছোট্ট ট্রিপ চুটিয়ে উপভোগ করেছেন অভিনেত্রী। সেই আনন্দ এখনও তাঁর মনে। তারই প্রতিফলন হাসিতে।
তবু সংশয়ের কাঁটাও খচ খচ করেছে নেটাগরিকদের মনে, নতুন বছরে নতুন কোনও পরিকল্পনা কি ঠিক করে ফিরলেন তাঁরা? সন্দীপ্তার সঙ্গে যখন মা-বাবা-রাহুল তিন জনেই ছিলেন?
আরও পড়ুন : বছরশেষে বড় চমক, সাদা থান ছেড়ে কনের সাজে দিতিপ্রিয়া
A post shared by SANDIPTA SEN (@sandiptasen)
উত্তর যদিও মেলেনি। তবে এই ট্রিপের পিছনে অনেক লুকোছাপা করেছেন অভিনেত্রী। যেমন, বেড়াতে যাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও চেক ইন করেননি। পাছে সবাই জেনে যায় তাঁর হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা! যেটা সচরাচর তিনি করেন না। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সূত্র ফাঁস করে দিয়েছে, ছুটি কাটাতে মা, বাবা এবং বিশেষ বন্ধু রাহুলকে নিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। সারাক্ষণ আড়ালে থাকলেও বামনি ফলসের কাছে সবার চোখে পড়েছে যুগল মূর্তি। পাহাড়ের সরু পাথুরে রাস্তা বেয়ে উঠে আসছিলেন তাঁরা।
রাহুল সন্দীপ্তা রোদচশমায় চোখ ঢাকলেও পরিচিত মুখ দু’টি চিনতে কারওরই অসুবিধা হয়নি। তার পর?
তার পর পুরো অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। রাস্তার ধারে দাঁড় করানো সাদা গাড়ি। একেবারে সামনের সিটে অভিনেত্রীর বাবা বসে। মাঝের সিটে কয়েকজন মহিলা। একেবারে পিছনে টুক করে জায়গা করে নেন সন্দীপ্তা। সবার চোখ এড়িয়ে খাবারের স্টলের পাশ দিয়ে রাহুলের আগমন। চোখের পলকে একরাশ ধুলো উড়িয়ে সেখান থেকে চটপট সরে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন : রাখি সবন্তের ব্যক্তিগত জীবন থেকে পর্দা সরল বিগ বসে