‘‘পর্দায় পরিপূর্ণ দেখানোর জন্য স্তন প্রতিস্থাপন করাতে বলা হয়েছিল’’, স্মৃতিচারণ সমীরা রেড্ডির। ফাইল চিত্র।
এক সময় পর্দার ‘সেক্সি স্যাম’ ছিলেন তিনি। এখন অবশ্য সমাজমাধ্যমে ‘মেসি মাম্মা’ নামেই বেশি পরিচিত তিনি। বর্তমানে দুই সন্তানের মা বলিউড অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি। মা হওয়ার পর থেকে বডি পজিটিভিটি নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন সমীরা। তবে, এই জায়গায় পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। জীবনের সেই সব ‘ভয়াবহ’ দিনের কথা মনে করলেন সমীরা।
২০০২ সালে সোহেল খানের বিপরীতে ‘ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন সমীরা। তার পরে কাজ করেছেন ‘রেস’, ‘দে দনা দন’, ‘ওয়ান টু থ্রি’-র মতো ছবিতে। রুপোলি পর্দায় তখন সমীরা লাস্যময়ী নায়িকা। সেই যৌবন ও আবেদন ধরে রাখতে অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী জানান, দিনে মাত্র একটা ইডলি খেতেন তিনি, যাতে ওজন না বেড়ে যায়। এমনকি, পর্দায় যাতে পরিপূর্ণ দেখায় সে জন্য স্তন প্রতিস্থাপন করার পরামর্শও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। ভয়াবহ সেই সব দিনের কথা স্মরণ করে বলেন সমীরা, ‘‘সেই সময় প্লাস্টিক সার্জারি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল, আর আমি শুধু ভাবতাম আমারও কি করা উচিত?’’ নিজেকেই প্রশ্ন করেন অভিনেত্রী। তবে ঈশ্বরের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ যে, তিনি সেই পথে হাঁটেননি।
মা হওয়ার পরে প্রায় ২-৩ বছর অবসাদে ভুগেছেন সমীরা। তখন এমন কাউকে পাশে পাননি, যিনি তাঁর মানসিক অবস্থা বুঝবেন। তাই অবসাদ কাটিয়ে ওঠার পরে সমাজমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন অভিনেত্রী। উদ্দেশ্য ছিল— যাঁরা এই রকম মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের যেন সাহায্য করতে পারেন। এখন একাধিক সংস্থার বডি পজিটিভিটির মুখ সমীরা রেড্ডি। শুধু তাই-ই নয়, নিজের পডকাস্টেও এই নিয়ে সরব বলিউড অভিনেত্রী।