বন্ধুর পাশে দাঁড়ালেন না। বরং সলমন খানের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন আমির খান।
‘সুলতান’ ছবির শ্যুটিং-এ এতটাই পরিশ্রম হতো সলমনের, যে নিজেকে তাঁর এক জন ‘ধর্ষিতা’-র মতো মনে হতো। কিছু দিন আগে ছবিতে কুস্তি অনুশীলনের একটি দৃশ্যের প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন সলমন। আজ নিজের ছবির প্রচারে তা নিয়ে মুখ খুললেন আমির। বললেন, ‘‘আমার মনে হয় ও (সলমন) যা বলেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এবং একদমই সংবেদনশীল নয়।’’
সলমনের মন্তব্যের পর পরই সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মহিলা কমিশন — সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সব জায়গায়। প্রত্যেকের দাবি, ক্ষমা চাওয়া উচিত সলমনের। তবে তারকা নিজে নন, ছেলের হয়ে ক্ষমা চান তাঁর বাবা, চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। সেলিমের মতো সলমনের পাশে দাঁড়ান পরিচালক সুভাষ ঘাই, অভিনেত্রী নাগমা। অন্য দিকে বিরোধিতাও করেছেন কেউ কেউ। যেমন, কঙ্গনা রানাউত। মন্তব্যটি করা সলমনের একেবারেই ঠিক হয়নি জানিয়েও কঙ্গনা বলেন, ‘‘এ ভাবে এক জন মানুষকে নিশানা করে আক্রমণ করাটা ঠিক নয়।’’
সলমন আমিরের বন্ধুত্ব বহু দিনের। নব্বইয়ের দশকে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ করেছিলেন দু’জনে। আমিরের ছবি ‘দঙ্গল’-এর পোস্টার প্রকাশের একটি অনুষ্ঠান ছিল আজ। ‘সুলতান’-এর মতোই ‘দঙ্গল’ ছবিটিও এক কুস্তিগিরকে নিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই আমির জানান, সলমনের সেই মন্তব্যের সময়ে ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন না তিনি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁর মত, মন্তব্যটি দুর্ভাগ্যজনক। তবে সলমনকে এ নিয়ে তিনি আমির পরামর্শ দেবেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে আমির শুধু বলেন, ‘‘আমি পরামর্শ দেওয়ার কে!’’
আমির যে নিজে চিরকাল বিতর্কমুক্ত থেকেছেন তা নয়। কিছু দিন আগেই দেশের ‘অসহিষ্ণু’ পরিবেশ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। অনেকে মনে করেছিলেন, ‘সুলতান’ ছবির প্রচারের জন্যই ধর্ষণ প্রসঙ্গ তুলে বেফাঁস মন্তব্য করেন সলমন। আর ঠিক তেমনই ‘দঙ্গল’কে প্রচারের আলোয় আনতে আমিরের আজকের পদক্ষেপ। তবে নিন্দুকরা যা-ই বলুক, সোশ্যাল মিডিয়া আমিরের পাশেই। ‘কূটনীতিকদের মতো মেপে’ কথা না বলে আমিরের ‘সোজাসাপ্টা’ বক্তব্যকে অনেকেই আজ সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার সহাস্য ভঙ্গিতে প্রশ্নও তুলেছেন, আমির-সলমনের জুটির ‘আন্দাজ’ কি তা হলে ‘দঙ্গলে’ পরিণত হতে চলেছে?