কারও সুপারিশ নয়। রীতিমতো বিজ্ঞাপন দেখে অডিশন দিয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন কেরিয়ারের প্রথম ছবিতে। কিন্তু তার পরেও ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেলেন না চাঁদনি। প্রথম ছবিতেই সলমন খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা এই নায়িকা এখন বিস্মৃত।
চাঁদনির আসল নাম নবোদিতা শর্মা। তাঁর জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা দিল্লি ও পঞ্জাব শহরে। স্কুলে পড়ার সময়েই প্রথম অভিনয় হিন্দি ছবিতে।
সে সময় কথা চলছিল ‘সনম বেওয়াফা’ ছবি তৈরি নিয়ে। ছবির জন্য নায়িকা হিসেবে দরকার ছিল নতুন মুখ। সেই মর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সংবাদপত্রে।
বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন নবোদিতা। আরও অনেকের মধ্যে মনোনীত হন তিনি। সলমন খানের বিপরীতে তাঁকেই নায়িকা হিসেবে পছন্দ হয় ছবির পরিচালক-প্রযোজকের।
তবে নায়িকা হিসেবে তাঁর নাম পাল্টে দেওয়া হয়। নবোদিতা থেকে তিনি হয়ে যান ‘চাঁদনি’। অভিনয় ছেড়ে দিলেও এই পরিচয়ই তিনি এখনও ব্যবহার করেন।
১৯৯১ সালে মুক্তি পায় ‘সনম বেওয়াফা’। ছবিতে নায়িকা চাঁদনির চরিত্রের নাম ছিল রুকসানা। বিপরীতে সলমন তখন প্রথম সারির তারকা। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’-র সুবাদে তাঁর জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে।
বক্সঅফিসে চূড়ান্ত সফল হয় ‘সনম বেওয়াফা’। সে বছর ব্যবসার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল এই ছবিটি। প্রথম স্থানে ‘সাজন’।
এর পরও বেশ কিছু অভিনয়ের সুযোগ এসেছিল চাঁদনির কাছে। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। কারণ ‘সমন বেওয়াফা’-র পরিচালক-প্রযোজক সাওয়ন কুমারের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।
এই চুক্তি থেকে যখন মুক্তি পেলেন চাঁদনি, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বলিউডে তখন তীব্র প্রতিযোগিতা। ফলে চাঁদনির কাছে সে ভাবে আর সুযোগ আসেনি।
তার পরেও তিনি অভিনয় করেছেন। সুযোগ এসেছে ‘১৯৪২ এ লভ স্টোরি’, ‘মিস্টার আজাদ’, ‘জয় কিষণ’-সহ কিছু ছবিতে। কিন্তু কেরিয়ারের প্রথম দিকের সাফল্য আর ফিরে আসেনি তাঁর কাছে।
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ‘হাহাকার’। সে বছরই তিনি শিল্পপতি সতীশ শর্মাকে বিয়ে করে চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।
নব্বইয়ের দশকের নায়িকা চাঁদনি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। স্বামী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁর ভরপুর সংসার।
হিন্দি সিনেমার প্রতি ভালবাসা তাঁর মন থেকে এখনও মুছে যায়নি। দুই মেয়ের নাম রেখেছেন ‘করিশ্মা’ এবং ‘করিনা’।
আমেরিকায় ভারতীয় ধারার নৃত্যের প্রশিক্ষক তিনি। নাচ শেখানোর পাশাপাশি নানারকমের ইভেন্টও আয়োজন করে থাকেন একসময়ের সলমনের নায়িকা। (ছবি: ফেসবুক)