সাপে কামড়ানোর পরে প্রকাশ্যে সলমনের জন্মদিনের ভিডিয়ো
পানভেলের খামারবাড়িতে শনিবার মধ্যরাতে তিন বার হাতে সাপের কামড়। রবিবার মধ্যরাতে সেই খামারবাড়ির বাইরে এসেই চেনা কায়দায় হাসিমুখে ছবি তুললেন সলমন খান। পাপারাৎজিদের ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি এবং ভিডিয়োর ছড়াছড়ি।
পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে পানভেলের খামারবাড়িতে নিজের ৫৬তম জন্মদিন পালন করবেন বলে স্থির করেছিলেন সলমন। কিন্তু তারই মাঝে অঘটন। শনিবার মধ্য রাতে ‘ভাইজান’-এর হাতে কামড় বসাল সাপ। ছ’সাত ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পরে এখন সুস্থ আছেন অভিনেতা। কিন্তু ‘ভাই’-এর জন্মদিনে মুম্বইয়ের পাপারাৎজিরা ভিড় করবেন না, তা-ও কি হয়! একাধিক পাপারাৎজি পৌঁছে গেলেন পানভেলের খামারবাড়িতে। তাঁদের হতাশ করেননি সলমনও। দুর্বল শরীরেই এসে দাঁড়িয়েছেন বাড়ির বাইরে।
মহম্মদ রফির ‘বার বার ইয়ে দিন আয়ে’ গাইলেন পাপারাৎজিরা। সলমনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এক গাল হাসি নিয়ে ক্যামেরাবন্দি ‘ভাইজান’। এক পাপারাৎজি বললেন, “ভাইয়ের হাসি তো খুব সুন্দর।” পাল্টা মশকরায় সলমনের জবাব—“সাপে কামড়ানোর পরে এ রকম হাসিমুখে দাঁড়ানো খুবই কঠিন।”
সোমবার সকালে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সলমন বলেন, ‘‘আমাদের পানভেলের খামারবাড়িতে একটি সাপ ঢুকে পড়ে। আমি লাঠি দিয়ে সেই সাপটাকে তুলি। বাইরের জঙ্গলে ফেলে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু সাপটা আমার হাতে উঠে আসে। আমি হাত দিয়ে ওকে ধরতে গেলে তিন বার আমার হাতে কামড় বসায় সাপটা। হাসপাতালে চিকিৎসার পরে আমি এখন সুস্থ।’’
সলমনের বক্তব্য, সাপটিকে দেখে বিষাক্ত বলে মনে হয়েছিল তাঁর। যদিও সলমনের বাবা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছিলেন, সেই সাপের বিষ নেই। কার দাবি সঠিক, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।