‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এর প্রচারে এসে ছোটবেলার গল্প শোনালেন সলমন। জানালেন, শৈশব-কৈশোরের কীর্তির কথা। — ফাইল চিত্র।
বলিউডের অন্যতম তারকা হয়েও অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন সলমন খান। বাবা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান, কিন্তু ছোট থেকেই বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন না সলমন। চার ভাইবোন তাঁরা। থাকতেন এক কামরার ঘরে। এখনও সলমনের নিজের এক কামরারই ফ্ল্যাট মুম্বইয়ে।
সম্প্রতি তাঁর আসন্ন ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এর প্রচারে এসে ছোটবেলার গল্প শোনালেন সলমন। জানালেন, শৈশব-কৈশোরের কীর্তির কথা।
সলমন বড় হচ্ছেন যখন, তাঁর বাড়িতে পর্যাপ্ত খাবার থাকত না । সেই কারণেই প্রতিবেশীর বাগান থেকে ফল চুরি করতেন।
কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে ছবির প্রচারে এসেছিলেন অভিনেতা। অভিনেত্রী পূজা হেগড়ের সঙ্গে মজার আড্ডা জমিয়েছিলেন কপিল। কমলা পোশাক পরে এসেছিলেন পূজা। কপিল ঠাট্টা করে তাঁকে ‘অরেঞ্জ কুলফি’ বলে সম্বোধন করতেই সলমন বলেন, “একসময় প্রচুর খেয়েছি। এখনও গলা বসে রয়েছে।”
সলমন জানান, তাঁদের বড় হয়ে ওঠার সময় রাস্তাঘাটে প্রচুর ফল এবং আইসক্রিম পাওয়া যেত। সে সবের জন্য তিনি মারধরও খেয়েছেন। তিনি বলেন, “ যখন বড় হচ্ছি, বাড়িতে অনেক সময় বেশি খাবারদাবার থাকত না। আমি প্রতিবেশীর বাগান থেকে ফল পাড়তে যেতাম। এ জন্য প্রতিবেশীদের হাতে মারধরও খেয়েছি।”
কিছু দিন আগেই টাকা না দিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে ঠকানোর মজার গল্প বলেছিলেন সলমন। পকেটে টাকা ছিল না, অথচ কলেজ থেকে ফেরার সময় একটু আরামের জন্য ট্যাক্সিতে চেপেছিলেন। তার পর নেমে গিয়ে ট্যাক্সিওয়ালাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ‘আসছি’ বলে চম্পট দেন ‘ভাইজান’। আর ফেরেননি। পরে এক দিন সেই ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে দেখা। দু’জনেই চিনতে পেরেছেন দু’জনকে। তত দিনে বিখ্যাত সলমন। সে কী লজ্জা!
‘পাঠান’-এ অতিথি চরিত্রেই দর্শকের ভালবাসা পেয়েছেন অভিনেতা। ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটবে সলমনের, এমনটাই আশা অনুরাগীদের। ছবিতে রয়েছেন পূজা হেগড়ে, ভূমিকা চাওলা, ভেঙ্কটেশ ডগ্গুবতী, পলক তিওয়ারি প্রমুখ। আগামী ২১ এপ্রিল মুক্তি পাবে ছবিটি।