ভাগ্যশ্রী চলে যেতে শেষ হয়ে যেতে বসেছিলেন সলমন!
‘কভি ইদ কভি দিওয়ালি’-র নির্মাতা সলমন খান এখন সাফল্যের আলোয় ঘেরা। তবে জীবন কি তাঁরও মসৃণ ছিল চিরকাল? আবু ধাবির পুরস্কার মঞ্চে এ বছর সঞ্চালক ছিলেন ‘ভাইজান’। ঝলমলে সন্ধেয় ফিরে এসেছিল কেরিয়ারের শুরুর দিককার লড়াই-ঠাসা আঁধার দিনগুলোর স্মৃতি।
প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ মুক্তির পর কয়েক মাসের মধ্যেই সলমনের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার সময়। বলিউডে পা রেখেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সলমন-ভাগ্যশ্রী জুটি। সেখান থেকে ভাগ্যশ্রী হঠাৎ সরে যেতে একলা হয়ে পড়েন সলমন। তাঁর কথায়, ‘‘সমস্ত কৃতিত্ব নিয়ে সরে গিয়েছিল ভাগ্যশ্রী। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর কাজ করবে না, বিয়ে করে সংসারী হবে।’’ তার পরে ৬ মাস সলমনের হাতে কোনও কাজ ছিল না।
ত্রাতার ভূমিকায় তখন হাজির হয়েছিলেন প্রযোজক রমেশ তৌরানি। তাঁর প্রতি আজও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সলমন। সেই দুর্দিনের কথা বলতে বলতে মঞ্চেই চোখে জল সলমনের। বলে চলেন পুরনো দিনের কথা— ‘‘সে সময়ে আমার বাবা ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন প্রযোজক জিপি সিপ্পিকে। অনুরোধ করেছিলেন একটি ফিল্মি পত্রিকায় মিথ্যে ঘোষণা করতে যে, তিনি আমাকে একটি ছবিতে নিয়েছেন। জিপি তা করেছিলেন। কিন্তু কোনও ছবি হয়ইনি তখন।’’
সলমনের কথায়, এর পরই দেবদূতের মতো রমেশ তৌরানির আবির্ভাব। সিপ্পির অফিসে গিয়ে ছবির গানের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকার কল্যাণেই অবশেষে ‘পাত্থর কে ফুল’ (১৯৯১) নামে একটি ছবি হয়। তার জন্য আজও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই ‘ভাইজান’-এর।
তবে শুভাকাঙ্ক্ষী আরও ছিলেন। ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর অভিনেতা জানান, এক বার শপিং মলে একটি শার্ট আর একটি মানিব্যাগ খুব পছন্দ হয়েছিল। সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কেনার সামর্থ্য ছিল না। সলমনকে চমকে দিয়ে দুটোই উপহার হিসেবে তাঁকে পাঠান অভিনেতা সুনীল শেট্টি।
আবু ধাবির অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রযোজক বনি কপূরকেও ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি সলমন। জানান, ‘প্রভু দেবা’ (২০০৯) তাঁর কেরিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।