মুক্তির পরের দিন থেকেই বিতর্ক। খোলামেলা দৃশ্য, রাজনৈতিক প্লট— সব মিলিয়ে ‘সেক্রেড গেমস’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে নওয়াজের লভ ইন্টারেস্ট আর রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করে এই ওয়েব সিরিজে অন্য মাত্রা যোগ করেছেন মডেল এবং অভিনেত্রী কুবরা সেট। কে এই কুবরা সেট? এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুতিই বা কেমন ভাবে নিয়েছিলেন তিনি?
সঞ্চালক দানিশ সেটের বোন কুবরা সেট একসময় মডেলিং করতেন। একাধিক টিভি শো’তে কুবরা নিজেও সঞ্চালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। একাধিক বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কুণাল রায় কপূরের সঙ্গে ‘গোয়িং ভাইরাল’ ওয়েব সিরিজেও ছিলেন কুবরা।
‘সেক্রেড গেমস’-এ কুবরার চরিত্রের নাম কুকু। রূপান্তরকামী এক বার ড্যান্সার, যাঁর প্রেমে পড়ে যান গণেশ গাইতুন্ডে অর্থাৎ নওয়াজ। কিন্তু গণেশ জানতেন না যে তাঁর প্রেমিকা একজন রূপান্তরকামী।
সংবাদ মাধ্যমকে কুবরা বলেছেন, ‘অনুরাগ কাশ্যপ যখন আমাকে ডায়লগ পড়ে শোনাচ্ছিলেন, আমার চোখে সত্যিই জল এসে গিয়েছিল। অসুবিধাও হয়েছিল। কেননা রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করাটা সোজা কথা নয়।’
তবে নুড সিনে অভিনয় করতে কঠিন কসরত করতে হয়েছিল কুবরাকে। ‘সাত বার টেক নিয়েছিলেন কাশ্যপ। আর প্রত্যেক বার আমাকে এসে সরি বলতেন। আর বলতেন প্লিজ! আমাকে ঘৃণা করো না, আরেকটা টেক নেব।’
এই দৃশ্যেই গণেশ অর্থাৎ নওয়াজ জানতে পারেন যে, তাঁর প্রেমিকা আদতে একজন রূপান্তরকামী। আর সে কথা প্রেমিককে জানাতে গিয়ে সত্যি সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলেন কুবরা।
‘সাত বার টেক দিয়েছিলাম। আর যত বার এই দৃশ্যের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতাম, সত্যিই কাঁদতাম। টেক হয়ে যাওয়ার পর তো ফ্লোরে বসে কাঁদতাম। অনুরাগ স্যার এসে আমায় জড়িয়ে ধরতেন আর বার বার থ্যাঙ্ক ইউ বলতেন।’ যোগ করলেন কুবরা।
তবে দৃশ্যটি যে কেমন দাঁড়িয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কুবরা। বললেন,“যেই না আমি ফ্লোর থেকে বেরিয়ে গেলাম, সক্কলে হাততালি দিতে লাগল। এত ভাল একটা দৃশ্য দাঁড়াবে, আমার ধারণাই ছিল না।”
রূপান্তরকামীর দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে টাইপকাস্ট হয়ে যাওয়ার ভয় পাননি কুবরা সেট। জানালেন, কারণ কুকু-র চরিত্রটাই ছিল তাঁর কাছে রোমহর্ষক। আটের দশকে এক রূপান্তরকামীর আঙুলের ইশারায় নাচত গোটা মুম্বই, সেটা ফুটিয়ে তোলাই ছিল কুবরার কাছে আসল চ্যালেঞ্জ।