শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
নায়িকা তখন বাড়িতে সাজগোজ সারছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তাই। আচমকা দরজার ঘন্টিতে আওয়াজ। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়! শুধুই উপস্থিতি? রীতিমতো শাসিয়েছেন, “বেশি দেখিস না! বিয়ে দিয়ে দেব। কেন্দে মরে যাবি।” শুনে ভয় পাওয়া দূর-অস্ত, প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার পরের ছবির নায়িকা হেসেই খুন! তার পর কী হল? জানতে ফোন করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শ্রাবন্তীর কথায়, “আমার সহকারী চিত্ত দরজা খুলে হতচকিত। তার পরেই হাঁক, ‘দিদি দেখুন, উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার লোকেরা কেমন সেজে এসেছেন।' তখনও শিবুদা সামনে আসেননি।’”
৮ অক্টোবর নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’ মুক্তি পাচ্ছে। জিৎ, রাজ চক্রবর্তীর পরে শ্রাবন্তীর বাড়িতে ছবির পুরো দল। নায়িকার মতে, নতুন ছবিমুক্তির আগে প্রত্যেক পরিচালক বা প্রযোজক বন্ধুদের অবশ্যই আমন্ত্রণ করেন। কিন্তু এ ভাবে ছবির লুকে বাড়ি এসে সপরিবার ছবি দেখার নিমন্ত্রণ এই প্রথম পেলেন তিনি! ছবির ট্রেলার নিশ্চয়ই দেখেছেন? প্রযোজনা সংস্থার এ বারের পুজোর ছবির প্লাস পয়েন্ট কী কী? প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শ্রাবন্তীর জবাব, “সবার আগে আমার নজর কেড়েছিল বহুরূপীর ওই গিরগিটি। একটু মাথা খাটালে বুঝবেন, ওই প্রাণী ঘনঘন রং বদলায়। তাই ওকে লোগো হিসেবে ব্যবহার করলেও এর অর্থ কিন্তু গভীর।” নায়িকার উপলব্ধি, মানুষও একই ভাবে রং বদলায় যখন তখন।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি সংগৃহীত।
এই জায়গা থেকেই তাঁর মত, নন্দিতা-শিবপ্রসাদ বরাবর মানুষের গল্প বলতে ভালবাসেন। সেই সঙ্গে ভালবাসেন, সমাজে ঘটে চলা নানা জ্বলন্ত সমস্যা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে। যে কারণে, পরিচালক জুটির ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শক। শ্রাবন্তীর কাছে দ্বিতীয় বড় আকর্ষণ আবীর চট্টোপাধ্যায়-ঋতাভরী চক্রবর্তী, শিবপ্রসাদ-কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের রসায়ন। যা দর্শকমনে আগাম ছড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শিবপ্রসাদ-কৌশানীর জুটি চর্চায়। সব ঠিক থাকলে শীতে পরিচালক জুটির ‘আমার বস’ মুক্তি পেতে পারে। সেই ছবিতে শিবপ্রসাদের নায়িকা শ্রাবন্তী।
শীতের ছবির প্রচার যাতে পুজোর ছবির প্রচারকে ছাপিয়ে যায়, তার আগাম বায়নাও কি সেরে নিলেন শিবপ্রসাদের কাছে?
শুনে হেসে ফেলেছেন নায়িকা। দাবি, “নন্দিতাদি-শিবুদার সঙ্গে কাজ করে বুঝে গিয়েছি, ওঁদের বুদ্ধি-অনুভূতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ওঁরা যেটা ভাল বুঝবেন, সেটাই করবেন। এবং সেটা যে সেরা কিছুই হবে, সেই বিশ্বাস ষোল আনা আছে।” একটু থেমে আরও যোগ করেছেন, "‘আমার বস’-এর হাত ধরে বহু বছর পরে বাংলা ছবিতে রাখি গুলজ়ার ফিরছেন। ছবির জন্য এর থেকে বড় প্রচার আর কী হতে পারে!"