‘ফসিলস’কে নিয়ে গর্ব বোধ করেন রূপম।
তখন ‘ফসিলস’ নতুন। পায়ের তলার মাটি শক্ত করছে সবে। বাংলা রক গানের প্রতি ভরসা রাখতে পারছিলেন না অনেকেই। গান রেকর্ডিং সংস্থাগুলিও ফিরিয়ে দিচ্ছিল রূপম এবং তাঁর সঙ্গীদের। দীর্ঘ চেষ্টার পর ‘আশা অডিয়ো’-র হাত ধরে ‘ফসিলস’-এর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ। ধীরে ধীরে বাংলা রক গানের এই ব্যান্ডকে আরও ভাল ভাবে চিনতে শুরু করেন মানুষ। রূপম যদিও মনে করেন, অ্যালবাম প্রকাশের আগে থেকেই একটু একটু করে পরিচিতি পাচ্ছিল ‘ফসিলস’। এর পর রেডিয়োর সুবাদে শ্রোতাদের আরও কাছে পৌঁছে যান রূপমরা। বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার সঙ্গেই বাংলায় রক গানের আন্দোলন তৈরির ইচ্ছে আরও দৃঢ় হতে থাকে।
রূপম বলেন, “শ্রোতা নয়, আমাদের ইচ্ছে ছিল এই আন্দোলনের ফলোয়ার তৈরি করার। এই ফলোয়ার দিনের পর দিন বেড়েছে। আর কোন ব্যান্ড আছে যে ৯৩ হাজার শ্রোতার সামনে গান করেছে? দেখব কিন্তু শুধু ‘ফসিলস’ই করেছে। আমি এমন কিছু কনসার্টের নাম বলতে পারি, যেখানে এত সংখ্যক মানুষের সামনে ‘ফসিলস’ গান গেয়েছে। এতে তো বাঙালির গর্ব হওয়া উচিত। কিন্তু এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে কি?”
কাজ নিয়ে রূপমের আত্মবিশ্বাসকে তাঁর দম্ভ বলে ধরে নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু রূপমের বিশ্বাস তাঁর গান শুনলে, কাজকে গভীর ভাবে জানলে বদলে যাবে সেই ধারণা।