দীপিকা পাড়ুকোন। বলিউডের অন্যতম নায়িকা। সামনের মাসেই তাঁর বিয়ে বলিউডের অপর অভিনেতা রণবীর সিংহের সঙ্গে। দীর্ঘদিন প্রেমের পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রণবীরের আগেও দীপিকার সঙ্গে বেশ কয়েকজনের নাম জড়িয়েছে। তাঁরাই নাকি দীপিকার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড।
নীহার পাণ্ড্য: ২০০৫ সালে মুম্বইয়ে অভিনয় শিক্ষার সূত্রেই নাকি আলাপ হয়েছিল তাঁদের। গভীর বন্ধুত্ব থেকেই নাকি প্রেমে পড়েছিলেন দু’জনে।
উপেন পটেল: খুব কম সময়ের জন্য হলেও মডেলের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ছিল দীপিকার। হট ফটোশ্যুটও করেছেন এক সঙ্গে।
মুজামিল ইব্রাহিম: এই মডেল-অভিনেতা দাবি করেছিলেন, দীপিকার সঙ্গে নাকি তাঁর সম্পর্ক ছিল। খুব কম সময়ের জন্যই নাকি এই সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল। সিদ্ধার্থ মাল্যর সঙ্গে ব্রেক-আপ হওয়ার পরই নাকি এই সম্পর্ক তৈরি হয়।
২০০৭-২০০৮ সাল নাগাদ অস্ট্রেলিয়াতে দীপিকার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সময় নাকি যুবরাজ সিংহ উপস্থিত ছিলেন। দীপিকার শুটিং চলছিল, আর যুবি গিয়েছিলেন ভারতীয় দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে যুবির জন্মদিনও নাকি পালন করেছিলেন দীপিকা। কেরিয়ারের কারণেই নাকি এই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গেও দীপিকার নাম জড়িয়েছিল ২০০৭ সাল নাগাদই। ধোনি নাকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন দীপিকাকে। কিন্তু যুবির সঙ্গে সম্পর্কের কথা কানে আসতেই নাকি ধোনি সরে আসেন।
২০০৭ সালে দীপিকার প্রথম ছবি ‘ওম শান্তি ওম’-এর শুটিং চলছিল। এদিকে রণবীরের প্রথম ছবি ‘সাওয়ারিয়া’-র কাজ চলছিল, সেই সময়ই দু’জনের নাকি আলাপ মেক-আপ শিল্পী ডরিসের মাধ্যমে। ২০০৭ সালেও গভীর সম্পর্ক ছিল দু’জনের মধ্যে। বি টাউনে রটেছিল, রণবীরের মা নীতু সিংই নাকি দীপিকাকে পছন্দ করতেন না। তাই দু’জনের সম্পর্ক নাকি পরিণতি পায়নি।
সিদ্ধার্থ মাল্য: ‘লিকার ব্যারন’ বিজয় মাল্যর ছেলে সিদ্ধার্থের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল দীপিকার। ২০১১ সালে আইপিএল চলাকালীন দু’জনকে মাঠেও দেখা গিয়েছিল এক সঙ্গে।
রণবীর সিংহের সঙ্গে দীপিকার প্রেম শুরু ‘গোলিও কি রাসলীলা রামলীলা’ ছবির সময় থেকেই। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবার পরিণতি পাচ্ছে। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর বিয়ের অনু্ষ্ঠানের দিন ঘোষণা করেছেন হবু নব দম্পতি।