আমার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সল্টলেক স্টেডিয়ামের ব্যাঙ্কোয়েটে। ওই দিনই রুমা গুহঠাকুরতা পরিচালিত কয়্যারের শো ছিল। সবাইকে অবাক করে দিদি হাজির হয়ে বলেছিলেন, ‘‘একা নই, সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি,’’ এমনই আন্তরিক ছিলেন তিনি। কিশোরকুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে রুমাদি কলকাতায় এসে ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। যতটা সুরসাধিকা ছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে। আর এমন মানুষকেই পেয়েছিলাম ‘ছাত্রী’ হিসেবেও। আমার সুরে কয়্যারের পুজোর অ্যালবামে রুমাদি গান গেয়েছিলেন। আমাকে পুরোপুরি মাস্টারমশাইয়ের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আর তখন দেখলাম পারফেকশনিস্ট রুমাদিকে। আমি গায়কিতে মার্জনা করে নিলেও, রুমাদি যতক্ষণ না মনের মতো গান তৈরি হয়েছে, ছেড়ে দেননি। আসলে রুমাদি মানুষকে ভালবাসতে পারতেন। তাঁর উপস্থিতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি আদায় করে নিত... আজ মনে হচ্ছে, মাথার উপর থেকে ছাতা সরে গেল। এখনকার দিনে একসঙ্গে তিন জনকে নিয়ে চলা যায় না। কিন্তু একই সময়ে দক্ষতার সঙ্গে একশো জনকে সঙ্গে নিয়ে চলা? একমাত্র রুমা গুহঠাকুরতাই পেরেছেন!