Pinky Banerjee

Rudranil on Kanchan: ব্যক্তি কাঞ্চনকে চিনি, সাদামাঠা মানুষটাকে ভুল বোঝাচ্ছে না তো কেউ? প্রশ্ন রুদ্রনীলের

দম্পতির মাঝে যদি সত্যিই তৃতীয় ব্যক্তি আসেন, তাঁকে সরে যেতে হবে: রুদ্রনীল

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ১৮:৪৯
Share:

রুদ্রনীল ঘোষ এবং কাঞ্চন মল্লিক

টলিপাড়ায় রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক এবং রুদ্রনীল ঘোষের বন্ধুত্ব খুবই চর্চিত বিষয়। রাজনৈতিক মতাদর্শও সেখানে সূঁচ ফোটাতে পারেনি। উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন ও তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক তরজার বিষয়ে তাঁদের দীর্ঘ দিনের বন্ধু রুদ্রনীলের সঙ্গে যোগাযোগ করল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি পিঙ্কির এফআইআর করার ঘটনাটি জানতেন না। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছ থেকে সেই সংবাদ পেয়ে বিস্মিত এবং আহত রুদ্রনীল ঘোষ।

Advertisement

রুদ্রনীল জানালেন, এত বছরের বন্ধুত্বে কখনও দম্পতির মধ্যে এমন বিরোধ তিনি দেখেননি। তবে গত ৬ মাসে দেখা সাক্ষাৎ তেমন ভাবে হয়নি কাঞ্চন বা পিঙ্কির সঙ্গে। রুদ্রনীল বললেন, ‘‘সেটার কারণ অবশ্যই রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধ নয়, কারণ কেবলমাত্র নির্বাচনের ব্যস্ততা।’’ তাই এই সময়ের মধ্যে কী কী হয়েছে, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই রুদ্রনীলের। তবে এর মাঝেও ফোনে, মেসেজে টুকটাক কথা হয়েছে। মাতৃহারা কাঞ্চন নির্বাচনে জেতার পরে রুদ্রনীলের সঙ্গে কথা বলার সময়ে, তাঁর মাকে নিয়েও মন খারাপ করছিলেন। পাশাপাশি পিঙ্কি নিজের ছেলের বিভিন্ন ভিডিয়ো বানিয়ে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন। সেই সমস্ত ভিডিয়ো নিয়ে রুদ্রনীলের সঙ্গেও মজার কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু দুই বন্ধুর কথায় কোনও সমস্যার ইঙ্গিত ছিল না বলেই দাবি অভিনেতার।

কাঞ্চন এবং রুদ্রনীল

রুদ্রনীলের ইচ্ছে, তাঁর দুই বন্ধুর মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাক। কাঞ্চনের ব্যাপারে তিনি যা যা শুনতে পাচ্ছেন, তা একেবারেই ‘কাঞ্চন-সুলভ’ আচরণ নয় বলেই দাবি অভিনেতার। তাঁর কথায়, ‘‘আর ৫টা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে রকম জীবন যাপন দেখা যায়, ওরাও তেমনই ছিল। কোনও অস্বাভাবিকত্ব ছিল না। যত দূর জানি, কাঞ্চনের মা মারা যাওয়ার পরে বাড়ি ফাঁকা থাকত মাঝে মাঝেই। তখন চেতলার বা়ড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকত পিঙ্কি। সেটাও কোনও বিবাদের কারণে নয়।’’

Advertisement

তবে রুদ্রনীলের একটাই চিন্তা, ‘‘আমি ব্যক্তি কাঞ্চনকে চিনি। ওর মতো সাদামাঠা মানুষ খুব কমই আছে। আগে বহু বার দেখেছি, কিছু মানুষ ব্যক্তি স্বার্থে কা়ঞ্চনকে ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করেছে।চিন্তা হয়, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।’’ একইসঙ্গে কাঞ্চন ও পিঙ্কিকে নিয়ে তাঁর বক্তব্য, দু’জনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আবির্ভাবের অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা হলে সেটা দুঃখজনক। রুদ্রনীলের কথায়, ‘‘সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজেকে সরিয়ে এনে সংসারে মন দেওয়া উচিত। আমার বিশ্বাস, কাঞ্চন এবং পিঙ্কি যাবতীয় অসুবিধা কাটিয়ে আবার আগের মতো স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাবে।’’

কাঞ্চনের বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী পি‌ঙ্কি। স্বামীর বিরুদ্ধে পিঙ্কির অভিযোগ, তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেছেন কাঞ্চন। মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করেছেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে পিঙ্কি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বলে কাঞ্চন নাকি মাঝ রাস্তায় তাঁকে হেনস্থা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement